timewatch
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, বিকাল ৫:১২ মিনিট
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন
শিরোনাম

চ্যালেঞ্জিং বাজেট পুনর্বিবেচনা করতে হবে : সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী

প্রতিবেদক
এ কে নাহিদ
জুন ৪, ২০২৩ ১:১৩ অপরাহ্ণ

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে। বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে বাজেটে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা ও প্রসারের দিকটি বিবেচনা করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ৮০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। দ্বিতীয় গাড়ি থাকলে পরিবেশ সারচার্জ আরোপ করা হবে। কৃষি খাতে যন্ত্রপাতিতে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে, যথেষ্ট ভর্তুকি রাখা হয়েছে। এ উদ্যোগগুলোকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। সম্প্রতি টাইমওয়াচ প্রতিনিধিকে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী এসব কথা বলেন।

বাজেটের বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং প্রসঙ্গে টাইমওয়াচ প্রতিনিধি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজেটের অনেক বিষয়ই বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং হবে। মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তা কিভাবে অর্জিত হবে তা স্পষ্ট নয়। বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের মানুষের জনজীবনেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এ সংকটকালে অবকাঠামো উন্নয়নের চেয়ে মানুষকে স্বস্তি দেয়া বা দরিদ্র-মধ্যবিত্তদের কথা যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি। বিভিন্ন ভাতা বাড়ানো হলেও তা যথেষ্ট নয়। আমরা মনে করি, বিভিন্ন ভাতা ন্যুনতম ২ হাজার টাকা করা প্রয়োজন। সরকারি সেবা পেতে ন্যুনতম কর ২ হাজার টাকা করার বিষয়টি আমরা সমর্থন করতে পারছি না। কারণ সেবা পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের। অপরদিকে ধনীদের সারচার্জের ন্যুনতম সীমা ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে। এ দু’টি বিষয় বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার চেতনা বিরোধী। বাজেট ঘাটতিও বেশি ২,৬১,৭৮৫ কোটি টাকা। এ ঘাটতি পূরণে দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হবে। এমনিতেই দেশের ব্যাংক খাত চাপে রয়েছে। বিদেশী ঋণের বোঝাও বাড়তে পারে। খেলাপি ঋণ মাত্রাতিরিক্ত। বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত বড় পরিমাণ অর্থ দিলে বিনিয়োগ হ্রাস পেতে পারে। তিনি বলেন, রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নও অনেক চ্যালেঞ্জিং। চলমান অর্থবছরেও এনবিআর তার লক্ষ্যমাত্রার ৬১ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়নও ৫০ শতাংশর মতো। রাজস্ব বা এডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেই হবে না, তা বাস্তবায়নের সব রকম ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা কর ও ঋণ দিয়ে ব্যয় নির্বাহের চেষ্টা করছি। অথচ লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে মুদ্রা পাচারকারীরা, ঋণ খেলাপিরা, অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো অসাধু চক্র। প্রস্তাবিত বাজেটে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা, খেলাপি ঋণ উদ্ধারে বা বৈধ পথে রেমিট্যান্স নিশ্চিতে বিশেষ নির্দেশনা নেই। আমাদেরকে স্থায়ী সমাধানের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্যথায় বাজেটের লক্ষ্য বা দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না।

বাজেটে দেশের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগন্য। শিক্ষা খাতে জিডিপির ১.৭৬ শতাংশ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষা খাত ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ০.৭৬ শতাংশ। কলমের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রয়োগ শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়াবে।

শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, সব মিলিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মনে করছে, বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং। উল্লিখিত বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করে জনগণের জন্য অধিক কল্যাণকর বাজেট পাস করাই যৌক্তিক হবে।

 

 

 

 

 

সর্বশেষ - ধর্মতত্ত্ব