বিগত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব যথা সময়ে জমা দিতে না পারা ২৩টি রাজনৈতিক দল বাড়তি সময় পাচ্ছে। এক্ষেত্রে একমাস সময় বাড়তে পারে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোকে বিগত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪টি।
জানা গেছে, শেষ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ (জাপা) ২১টি দল হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছে। আর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণফ্রন্ট, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ ২৩টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, দলগুলোর আবেদন ভিত্তিতে কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব দল হিসাব জমা দিয়েছে- আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাপা, এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামি ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় পার্টি-জেপি, এনপিপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জেএসডি, বাংলাদেশের বিপ্লবি ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, এনডিএম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
৩০ দিন থেকে ২ মাস সময় চেয়েছে ২৩ দল- জাসদ, গণফ্রন্ট, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বিএনএফ, বিএমএল, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ জাসদ, বিজেপি, ন্যাপ, বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, তৃণমূল বিএনপি, বাসদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বিটিএফ, বিএনএম ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী পরপর তিন বছর কোনো দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে নিবন্ধন বাতিল হবে। এর আগে কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপি আবার কখনো অন্য দলগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়েছে ইসি।