বাংলাদেশের জন্য নতুন মার্কিন ভিসানীতির ফলে বিএনপি আর নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ২৯ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
মার্কিন ভিসানীতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিসানীতি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছেন, এটি তার জন্য সহায়ক হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। আমি মনে করি, বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে এই ভিসানীতি। কারণ এখন আর নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিতে পারবে না তারা।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কারণ ভিসানীতিতে বলা হয়েছে, এটি সরকারি ও বিরোধী—দুই দলের জন্যই। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। নির্বাচনে বাধা দেওয়া তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়া। আর নির্বাচন প্রতিহত করা তো সংঘাত তৈরি করা। কাজেই এগুলো তো বিএনপি করতে পারবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারা বলেছে, এটি নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, কাজেই যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি বিশ্বজুড়ে কারো কোনো সমর্থন নেই। অন্তত আন্তর্জাতিকভাবে এ নিয়ে আর কিছু বলার সুযোগ নেই বিএনপির। কাজেই এটি তাদের ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন দিয়ে শুরু করেছি।’ তাহলে কী আগের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি- এই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগেরগুলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। গাজীপুরেরটা যেহেতু খুবই সাম্প্রতিক, সে কারণে এই নির্বাচনের উদহারন টেনেছেন তিনি।
মার্কিন ভিসানীতির পর বিএনপি বলেছে যে, নির্বাচন প্রতিহতের পথে তারা যাবে না। তারা অন্য কোনো পদ্ধতিতে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পথ বের করবে। এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির বক্তব্যেই স্পষ্ট যে এই ভিসানীতির কারণে বিএনপির ওপর বিরাট চাপ তৈরি হয়েছে। তারা প্রতিহত, প্রতিরোধ বর্জনের কথা বলতে পারছে না।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের এসব কর্মসূচি একেবারেই গতানুগতিক। তারা কিছুক্ষণ হাঁটে, কিছুক্ষণ বসে, তারপর কিছুক্ষণ গাড়িঘোড়া পোড়ায়। এখন তারা হয়তো দৌড়ানোর কর্মসূচি দেবে।