আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে ভোজ্য তেল উল্লেখযোগ্য। প্রতিদিনই রান্নাসহ বিবিধ প্রয়োজনে ভোজ্য তেল এর ব্যবহার হয়। দরকারি এই পণ্যটির চাহিদা মাফিক দেশীয় উৎপাদন না হওয়ায় সিংহভাগই আমদানি করতে হয়। এক্ষেত্রে দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোজ্য তেল আমদানিকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে এস. আলম গ্রুপ অন্যতম।
প্রতিষ্ঠানটি বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং ভোক্তা চাহিদা মেটাতে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৪ হাজার মেট্টিক টন ভোজ্য তেল আমদানি করেছে। এতে এস. আলম গ্রুপ এর সর্বমোট বিনিয়োগ এর পরিমাণ প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকারও বেশি। আমদানিকৃত ভোজ্য তেলের মধ্যে পাম ও সয়াবিন তেলের মোট আমদানি ছিল যথাক্রমে প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার মেট্টিক টন এবং প্রায় ১২ হাজার মেট্টিক টন। যার আর্থিক বাজারমূল্য যথাক্রমে প্রায় ১৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ হাজার ৩৫ কোটি টাকারও বেশি এবং প্রায় ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৬৫ কোটি টাকারও বেশি।
দেশে বর্তমানে ভোজ্য তেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৩ লাখ টনের মতো। এর মধ্যে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র প্রায় ৩ লাখ টন, যা চাহিদার শতকরা প্রায় ১৩ ভাগ। অর্থাৎ ভোজ্য তেলের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রায় ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে এস. আলম গ্রুপ। কোম্পানিটি তেলের আমদানির দেশীয় বাজার চাহিদার প্রায় ৩০ শতাংশ আমদানি করছে। বিগত বছর ২০২২ সালে এস. আলম গ্রুপ প্রায় ৯১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১০ হাজার ৯৮ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করে প্রায় ৬ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি করে।
এ প্রসঙ্গে এস. আলম গ্রুপ থেকে বলা হয়, “দেশে বার্ষিক ভোজ্য তেল চাহিদার সিংহভাগই আমদানি করার প্রয়োজন হয়। চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত সময়ে ভোজ্য তেল আমদানি না হলে বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটাতে ও বাজার পরিস্থিতি ভোক্তাদের অনুকূলে রাখতে আমরা নিয়মিত পাম ও সয়াবিন ভোজ্য তেল আমদানি করে থাকি। এস. আলম গ্রুপের এই তড়িৎ ও সময় উপযোগী উদ্যোগের ফলে দেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে এবং ভোজ্য তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত হচ্ছে।”