প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের বন্ধু এবং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। আমরা সৌদি আরবকে সবসময় আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি পেয়েছি।
এ সময় তিনি সৌদি সরকার, সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বুধবার সকালে গণভবনে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এদিন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের (জি২জি) ভিত্তিতে পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) ও রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটিআই) এর মধ্যে কনসেশন চুক্তি সই হয়।
সৌদি আরবের এই বিনিয়োগের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। সৌদি আরবকে অনুসরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কনসেশন চুক্তি সইয়ের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটি শক্তিশালী এবং টেকসই অংশীদারত্বের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই কনসেশন চুক্তি অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের দুই দেশের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি এবং অটল অঙ্গীকারের উদাহরণ। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র আরও জোরদার করবে।
পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নবনির্মিত ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) এবং রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালের (আরএসজিটিআই) মধ্যে কনসেশন চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে সই করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আরএসজিটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্স অ. ফলেই।
এ সময় সফররত সৌদি আরবের বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল ফালি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানসহ সৌদি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।