রাবারকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা চায় সংসদীয় কমিটি। সেই সঙ্গে উৎপাদিত রাবারের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে যৌক্তিক করা এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত রাবারের ট্যাক্স বৃদ্ধি চায় তারা। ২৮ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের এ সুপারিশের কথা জানান। তিনি বলেন, রাবার গাছ অন্যান্য গাছের তুলনায় তিনগুণ কার্বন শোষণ করে। এজন্য আমরা পরিবেশ বান্ধব রাবার চাষের মাধ্যমে দেশে রাবার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেছি। আমরা উন্নত প্রজাতির রাবার চারা রোপণের কথা বলেছি। অপরদিকে রাবারের বিকল্প বিদেশ থেকে যে সিনথেটিক আমদানি করা হয় তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অথচ এর আমদানি কর মাত্র ৫ শতাংশ। এজন্য আমরা দেশে উৎপাদিত রাবার বিক্রয় বিদ্যমান ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে যৌক্তিক করার সুপারিশ করেছি। আমদানিকৃত রাবারের (সিনথেটিক) ওপর আরোপিত ট্যাক্স বাড়ানোর কথা বলেছি।
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- রাবার শিল্পের উন্নয়নে মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা কিংবা ভারত থেকে উন্নত প্রজাতির রাবার চারা সংগ্রহ করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে। দেশে উৎপাদিত রাবার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রদান এবং বিদেশ থেকে রাবার আমদানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রদানের বৈষম্য দূরীকরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে।
বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা থেকে রাবার উৎপাদনের জন্য বরাদ্দ দেয়া ৪৪ হাজার ১৬০ দশমিক ৫৩ একর জমির মধ্যে সাত হাজার ২৬১ দশমিক ৪২ একর বেদখলে রয়েছে। অবশ্য বরাদ্দ পাওয়া সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি) দাবি করেছে তাদের কাছে ভূমি হস্তান্তরের আগেই ছয় হাজার ২২ দশমিক ৮৯ একর বেদখলে ছিল। তাদের হাতে যাওয়ার পর এক হাজার ২৩৮ দশমিক ৫৩ একর। বেদখলকৃত জমির ১৯৬ একর উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এসব ভূমির অবৈধ দখলদার দুই হাজার ১৭৫ জন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, রেজাউল করিম বাবলু এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন অংশগ্রহণ করেন।