২০ নভেম্বর ২০২৫, এখন সময় দুপুর ২:১৯ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

অর্থনীতির গতি ফেরাতে স্থিতিশীল রাজনীতি দরকার

প্রতিবেদক
এ কে নাহিদ
নভেম্বর ২০, ২০২৫ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

রাজনীতিতে অস্থিরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনও অশান্ত। পাশাপাশি সহিংসতা ও মবজাস্টিজ চলমান। এই অস্থিরতা সরাসরি প্রভাব ফেলছে দেশের অর্থনীতিতে। বিশ্লেষকদের মতে, সহিংসতা, মমজাস্টিজ, রাজনৈতিক দলের নতুন সমীকরণ সর্বোপরি রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ। ফলে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিয়ে শঙ্কা বেড়েই চলছে। এই সহিংসতা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা যদি অব্যাহত থাকে তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথ আরও কঠিন হয়ে উঠবে। সংস্কার নিয়ে চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার টানাটানি দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতির এই ক্ষত আরও গভীরতর হবে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশি-বিদেশি কোনো বিনিয়োগকারীই আস্থা পান না। কেবল বৈধ, স্থায়ী সরকারই বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা কমানোর জন্য ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এখন রাজনীতিতে জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন। স্থায়ী স্থিতিশীলতার জন্য স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক অন্ধ সমর্থন পরিহার দরকার। তা-না হলে অস্থির রাজনীতিতে অর্থনীতি গতিহারা হয়ে পড়বে। তাই এখন অর্থনীতির গতি ফেরাতে স্থিতিশীল রাজনীতি দরকার। এই নিয়েই এবারের টাইমওয়াচ প্রচ্ছদ প্রতিবেদন; লিখেছেন এ কে নাহিদ

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতিতে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরলেও সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি ফেরেনি। ডলারের বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে এসেছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে এবং ব্যাংক খাতে অনিয়ম দমনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবু বিনিয়োগ প্রবাহ কমে আসায় প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে, কর্মসংস্থান সংকুচিত হচ্ছে এবং দারিদ্র্যের বিস্তার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। গতিহীন হয়ে পড়ছে অর্থনীতি। চলমান এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থিতিশীল রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই।
সহিংসতা ও উত্তপ্ত রাজনীতি
দেশে সহিংসতা ও মব জাস্টিজ বেড়েই চলছে। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছে। স্বাধীন দেশে যা মোটেও কাম্য নয়। কোন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন, দলগুলোর মধ্যে মত-বিরোধ লেগেই রয়েছে। কোনো দলই এক প্লাট ফর্মে আসতে পারছে না। অথচ জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র তিন মাস বাকী আছে। এই উত্তপ্ত রাজনীতির কারণে দেশে তেমন কোনো দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে না। ফলে গতিহারা অর্থনীতি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থিতিশীল রাজনীতি দরকার।

অর্থনীতিতে রাজনৈতিক প্রভাব
রাজনৈতিক অস্থিরতা যে অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে সংশয় নেই। ইতোমধ্যে বিনিয়োগ স্থবির, ব্যবসায়ীরা আস্থা পাচ্ছেন না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও কাক্সিক্ষত স্থিতি আসেনি। রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কিছুটা ইতিবাচক হলেও রাজনৈতিক ঝুঁকি সামনে রেখে নতুন বিনিয়োগে উদ্যোক্তারা পিছপা হচ্ছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা যত দীর্ঘায়িত হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য তত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বাজেট বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের আস্থায়ও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
রিজার্ভ ও প্রবাসী আয়
সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি প্রবাহ কিছুটা ইতিবাচক, তবু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখনও কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতির মৌলিক সূচকগুলোতে উন্নতির আভাস আছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক ঝুঁকি সব অর্জনকে ম্লান করে দিতে পারে। আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক ঋণদাতারা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না দেখলে সহায়তায় অনাগ্রহ দেখাবে বলে দেশের বিশেজ্ঞমহল মনে করেন।
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান
প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের প্রাণশক্তি হলো বিনিয়োগ। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়ীরা আস্থাহীন হওয়ায় নতুন প্রকল্প শুরু হচ্ছে না। এর ফলে চাকরির বাজার সংকুচিত হচ্ছে, কোথাও কোথাও ছাঁটাইও হচ্ছে। শেয়ার বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে- অনেক কোম্পানি গত বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
দারিদ্র্য ও আয় বৈষম্য
পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে ৩৮ শতাংশ শ্রমশক্তি আংশিক কর্মসংস্থানে যুক্ত, যাদের বলা হচ্ছে ‘আন্ডারএমপয়েড’। অপরদিকে, ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি মজুরি বৃদ্ধিকে ছাপিয়ে গেছে। ফলে প্রকৃত আয় কমে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে চলতি বছর দেশে আরও ৩০ লাখ মানুষ ‘অতিদরিদ্র’ হবে। এতে অতি দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৯ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাবে।
প্রবৃদ্ধির গতি
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশে, যা গত দুই দশকে কোভিডকাল ছাড়া সর্বনিম্ন। প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থান ও আয়ের ওপর।
মূল্যস্ফীতি কমলেও রয়ে গেছে চাপ
টানা তিন বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকার পর এ বছরের মাঝামাঝি থেকে কিছুটা কমেছে। জুলাইয়ে এ হার দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা আগের মাসের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে এটি এখনও দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। চাল, সবজি ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।
সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি
বিনিয়োগ খরার মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে। গত জুন শেষে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গত ২২ বছরের যে তথ্য রয়েছে, এ প্রবৃদ্ধি তার মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে একবার প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮২ শতাংশে নেমেছিল। এর আগে করোনা অতিমারির মধ্যেও বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশের ওপরে ছিল।
কমেছে মূলধনি পণ্য আমদানি
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। অর্থনীতিবিদদের মতে, এতে শিল্প খাতে আধুনিকীকরণ ও উৎপাদন সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হবে। দীর্ঘমেয়াদে এটি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে।
সামনে নির্বাচন বাড়ছে উদ্বেগ
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। কমিশন এটিকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছে। সরকারও বলেছে, নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে। কিন্তু মাঠের রাজনীতি বলছে, সংঘর্ষ ও পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে অনিশ্চয়তা কাটেনি। বিএনপি এই রোডম্যাপকে স্বাগত জানালেও জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এনসিপি ইতিবাচকভাবে নেয়নি। ফলে নির্বাচনের পথেও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিনিয়োগ চাঙা করতে হলে একটি ভালো নির্বাচন দরকার। বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীল সরকারের নিশ্চয়তা চায়। তাই সরকার ঘোষিত কাঙ্ক্ষিত সময়ে একটি ভালো নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা যত বাড়বে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা তত কমবে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও স্থায়ী স্থিতিশীলতা আসেনি। এই অবস্থায় যদি সহিংসতা বা অনিশ্চয়তা দীর্ঘায়িত হয় তবে আমদানি-রপ্তানি এমনকি ব্যাংকিং খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক পরিচালক জানান, ব্যবসায়ীরা এখন বড় বিনিয়োগে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। তিনি বলেন, আমরা মূলত অপেক্ষা করছি- রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হবে। ফলে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার সরিয়ে নিতে পারে।
স্থিতিশীল রাজনীতি জরুরি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে এক ধরনের স্থিতিশীলতা এলেও এটি নিম্নমুখী। বিনিয়োগে স্থবিরতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত না হলে দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরবে না। ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে সাহস পাবেন কেবল তখনই, যখন নীতি ও নিয়মে ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে।বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকার স্বভাবগত ভাবেই অস্থায়ী। দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণের নিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রদান করতে পারে না। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বছরের হিস্যা ধরে কাজ করেন, মাসের হিসাব নয়। তাদের আস্থার প্রয়োজন। কেবল নির্বাচিত ও রাজনৈতিক সরকারই স্থিতিশীলতা প্রদানে সক্ষম। ব্যক্তিগত বিনিয়োগকে উদ্দীপিত ও অনুমানযোগ্য ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। কেবল তখনই বিনিয়োগহীনতা, চাকরি সৃষ্টিহীনতা ও দারিদ্র্য বৃদ্ধির বর্তমান দুষ্টচক্রকে উল্টে দিয়ে আস্থা, মূলধনপ্রবাহ, কর্মসংস্থান ও সমানভাবে ভাগ করে নেওয়া সমৃদ্ধির ইতিবাচক চক্র তৈরি সম্ভব।
প্রয়োজন রাজনৈতিক সমঝোতা
আসল সংকট রাজনীতিতে। বিভাজন জন্ম দেয় অনিশ্চয়তা, অনিশ্চয়তা থামিয়ে দেয় বিনিয়োগ, বিনিয়োগের স্থবিরতা বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বাড়ায়, হতাশা রাজনৈতিক দ্বন্ধকে আরও গভীর করে। এভাবেই চলছে এক দুষ্টচক্র। এটি ভাঙতে হলে উল্টো দিকের যাত্রা দরকার- বিভাজন থেকে ঐক্যে, অনিশ্চয়তা থেকে স্থিতিশীলতায়, হতাশা থেকে আশায়। শুধু নির্বাচিত সরকারই পারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে। গণঅংশগ্রহণ থেকে জন্ম নেয় বৈধতা। সেই বৈধতা থেকেই আসে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য হ্রাস ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়। রাজনৈতিক সমঝোতা কোনো বিলাসিতা নয়, অর্থনীতির জন্য জীবন-মরণ প্রয়োজন। আশায় বুকও বাধা যায়। বাগবিতণ্ডায় গেলে চলবে না। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্যের খুবই কাছাকাছি পর্যায়ে আছে। ইতিহাস শেখায়, ১৯৭১ সালে ঐক্য এনে দিয়েছিল মুক্তি। ১৯৯০ সালের ঐকমত্য স্বৈরতন্ত্র গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। আজও পথ একটাই- সংঘাত নয়, সমঝোতা। ভবিষ্যৎকে মর্টগেজ বা জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে ফেলে দেওয়ার মতো বিলাসিতার সুযোগ নেই। এই সন্ধিক্ষণে অচলাবস্থা, অনিশ্চয়তা ও অবক্ষয় অর্থনীতি ও সমাজকে ধ্বংসের দ্বাপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। সবারই জানা- নির্বাচিত নেতৃত্ব ছাড়া বিনিয়োগ নেই, স্থিতি নেই ও ভবিষ্যৎ নেই। তাই উন্নয়নে হতাশার কোনো স্থান নেই। আশার ভিত্তিতেই গড়ে উঠুক এমন রাজনীতি, যেখানে অর্থনীতি আবার শ্বাস নিতে পারে।
সবশেষ কথা
দেশের এই নাজুক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মতকৈর কোনো বিকল্প নেই। তাই একটি কথাই বারবার বলতে হচ্ছে যে, স্থিতিশীল রাজনীতি ছাড়া অর্থনীতির গতি ফেরানো সম্ভব নয়। দেশের অর্থনীতি যদি ভঙ্গুর হয়ে পড়ে তাহলে রাজনীতি টিকে থাকবে কী করে! কথায় বলে- পেটে ভাত না থাকলে রাজনীতির কথা মুখ দিয়ে বের হয় না। তাই সর্বাগ্রে পেট ঠাণ্ডা, দুনিয়া ঠাণ্ডা। দেশের অর্থনীতির গতি ফেরাতে স্থিতিশীল রাজনীতির জন্য জোড়ালো পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এই ব্যাপারে সকলেই একমত পোষন করে এগিয়ে আসবেন; এটিই আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা।

সর্বশেষ - আইন-আদালত