চার বছর আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগরে ভাড়াটিয়ার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে ওই বাসার কেয়ারটেকারকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আসামি আবু সাঈদ মোল্লার (৫৫) বাড়ি খুলনার দিঘলীয়া থানার চন্দনীমহল গ্রামে, তার বাবার নাম হামিদ মোল্লা।
আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে; অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে ভিকটিমকে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মো. এরশাদ আলম (জর্জ) জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রায় ঘোষণার পর আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ছোট মসজিদ পারে ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীর পরিবার ভাড়া বাসায় থাকত। সাঈদ মোল্লা ওই বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি প্রায় ভিকটিমকে কুপ্রস্তাব দিতেন। ২০২১ সালের ২ অগাস্ট দুপুর ২ টার দিকে মেয়েটি তার ভাইকে খুঁজতে বাসা থেকে নিচে নামে। আসামি কৌশলে তাকে ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। ২৩ সেপ্টেম্বর ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে আবারও ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
পরদিন তার মা থানায় মামলা করেন। পরের বছর ৩১ অগাস্ট মামলাটি তদন্ত করে সাঈদ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই আলী জিন্নাহ।
এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল এদিন রায় ঘোষণা করে।