‘সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে’ জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের যে দাবি এই নির্বাচন ব্যবস্থা, গণতন্ত্রের ব্যবস্থা, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারবো ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত গতিতে চলবে।
‘আমরা অন্য কারো সাথে হাত মিলিয়ে আপস করে, কারো সাথে বিভিন্নভাবে চুক্তি করে, রাতের বেলায় দেখা করে, কোনোরকম সমঝোতা করার চেষ্টা করছি না। আমরা এই লড়াই চালাবো এবং বিশ্বাস করি এই লড়াইয়ে আমরা জিতব।’
২৮ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রবিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ রেলগেটে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা উত্তরের পদযাত্রা পূর্ববক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর পদযাত্রাটি মালিবাগ থেকে শুরু হয়ে বাড্ডায় গিয়ে শেষ হয়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বোঝা যাচ্ছে আজকে বাংলাদেশের মান বিশ্বের বুকে লুণ্ঠিত। আমেরিকা আমাদের স্যাংশন দেয়নি, কিন্তু বলেছে তোমরা ভোট চুরি করো। তোমরা মানুষকে কথা বলতে দাও না, মত প্রকাশ করতে দাও না, নির্যাতন করো। এই সমস্ত কাজ সামনে নির্বাচনে যদি করা হয় তাহলে তাদের আমরা আর ভিসা দেবো না। এটা শুধু রাজনৈতিক নেতাদের জন্য নয়, পুলিশ বলেন, র্যাব বলেন, আর্মি বলেন সকলের ব্যাপারে এই কথা বলা হয়েছে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, ‘আপনি বিদ্যুৎ উৎসব করেছেন, উন্নয়নের কথা বলেন অথচ পায়রা কেন্দ্র বন্ধ হতে চলেছে। একটি দুইটি লাইন বন্ধ, কয়লা নেই, কয়লা আনতে পারে না, কয়লার টাকা দিতে পারে না। টাকা নেই, ডলার নেই, জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, কিন্তু দাম কমাতে পারে না। সারা দুনিয়াতে দাম কমে কিন্তু বাংলাদেশ সরকার দাম কমাতে পারে না। এরকম অপদার্থ, ব্যর্থ, লুটেরা সরকারকে আমরা চাই না।’
মান্না বলেন, ‘আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, আন্দোলন থামাচ্ছি না। চুরি করে বাটপারি করে আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টির চেষ্টা করে, লোভ দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা চলছে। আমরা বহুবার বলেছি, কোনো ভয়ের কাছে মাথানত করবো না। কোনো লোভের কাছে আত্মসমর্পণ করি না। কোনো জেল জুলুমকে ভয় পাই না। যদি ভয় পেতাম তাহলে আজকে এ বাধার পরও এভাবে আপনারা সামনে দাঁড়াতেন না।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এসময় জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাউয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য দেন।