ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পীর-অলি বিদ্বেশী উগ্রগোষ্ঠী অলি-আউলিয়ার মাজার-খানকায় ভাঙ্চুর, অগ্নিসংযোগসহ প্রৈশাচিক কায়দায় ধ্বংসে মেতে উঠেছে। তারা ছাত্র-জনতার বিজয়কে নিজদের আখের গোছানোর হাতিয়ার করে মাজার-খানকাহ এমনকি চর দখলের ন্যায় মসজিদ-মাদ্রাসাও দখল করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ৭ সেপ্টেম্বর বিএসপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান শাহ্জাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞপ্তিতিতে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, এই দেশে ইসলামের বিজয় নিশান উড়িয়েছেন মাজার, খানকা ও দরগায় অবস্থান করা অলি বুজুর্গগণ। তারা মানুষের শঠতা, হটকারিতা, সন্ত্রাসী ও আগ্রাসী মানসিকতা পরিশুদ্ধ করে প্রেম ভালোবাসার মাধ্যমে সম্প্রীতির সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পীর-অলি বিদ্বেশী উগ্রগোষ্ঠী অলি-আউলিয়ার মাজার, দরগাহ, খানকায় ভাঙ্চুর, অগ্নিসংযোগসহ প্রৈশাচিক কায়দায় ধ্বংসে মেতে উঠেছে। তারা ছাত্র-জনতার বিজয়কে নিজদের আখের গোছানোর হাতিয়ার করে মাজার, খানকাহ, দরগাহ, এমনকি চর দখলের ন্যায় মসজিদ-মাদ্রাসাও দখল করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, এসব অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের মুখামোখি করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের আপামার সুন্নি-সুফিবাদী জনতাকে এই উগ্রগোষ্ঠীকে প্রতিরোধে ঐক্য বদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা দাসের মৃত্যু প্রসঙ্গে বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের জন্য ভারত যেমন গুরুত্বপূর্ণ; ভারতের জন্যও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভারত দাবি করে আসছে তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। ভারত বাংলাদেশকে বন্ধু রাষ্ট্র মনে করলে, সীমান্তে গুলি করে পাখির মতো মানুষ হত্যা কী বন্ধুত্বের পরিচয় দেওয়া? কেউ অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করতে পারে। তাকে হত্যা করবে কেন? ফেলানীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড আমরা ভুলিনি। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, আজ স্বর্ণা দাসের মতো নিরীহ কিশোরীর হত্যা আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত বৈরি আচরণ করে, বাংলাদেশের কাছ থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আশা করতে পারে না। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দোষীদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি ।