তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
১ অক্টোবর রবিবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দপ্তরে তাদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের পথচলায় জাপান অর্থনৈতিকভাবে, অবকাঠামোগতভাবে আমাদের যেভাবে সহায়তা করেছে সে নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। দেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতে যেন আমরা আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারি সে জন্য তার সাথে আলোচনা করেছি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রসঙ্গ টেনেছেন, অবশ্যই আমি তাকে জানিয়েছি আগামী নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এন্ড ট্রান্সপারেন্ট হবে এবং ইলেকশন অনুষ্ঠান করা সেটি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এবং ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা যে, কখনো কারো জন্য সমীচীন নয়, সেটি আমি তাকে বলেছি। একইসাথে দেশে যাতে কোনো রাজনৈতিক ভায়েলেন্স না হয় যেটি ২০১৩-১৪-১৫ সালে হয়েছে এবং সময়ে সময়ে বিএনপি করে এবং এখনো করার চেষ্টা করছে, উস্কানি দিচ্ছে এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচন জনগণ এবং অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, সুন্দর সর্বমহলে কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, সেটি আমি তার সাথে আলোচনায় বলেছি।’
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে কেউ সহিংসতা করুক সেটি কখনো বরদাশত করবো না। যে কেউ রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করতে পারে, সরকারের পদত্যাগও চাইতে পারে। কিন্তু সেটি বলে দিনক্ষণ ঠিক করে “সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে” সেটি বলা সমীচীন নয়, সেটি রাজনীতির ভাষা নয়।’
তিনি বলেন, ‘যে ভাষায় বিএনপি কথা বলছে, সেই ভাষা ইঙ্গিত দেয় তারা দেশে একটি সহিংসতা, নাশকতা করতে চায়। সেটি করতে কাউকে দেওয়া হবে না। আমি আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে বলছি, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে কিভাবে কাকে মোকাবিলা করতে হয় সেটি আমরা জানি।’