৩ ডিসেম্বর ২০২৪, এখন সময় রাত ১০:৪৫ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

কাঁচা মরিচ আমদানি, কমছে দাম

প্রতিবেদক
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)
জুলাই ৩, ২০২৩ ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ। ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৬ ট্রাক ৪৫ টন কাঁচা মরিচ আমমদানি হয়েছে। এর ফলে বাজারে কমেছে মরিচের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০/২৮০টাকা। দাম আরো কমার কথা জানান ব্যবসায়ীরা।

ভারত থেকে ২ জুন রবিবার বিকালে ৬টি ট্রাকে ৪৪ টন ৪৪০ কেজি কাঁচা মরিচের চালান বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। যার আমদানি মূল্য পড়েছে ভ্যাটসহ ৫৫ টাকা। এইচ এম এন্টারপ্রাইজ ৩০ টন ও রযেল এন্টারন্যাশনাল ১৪ টন ৪৪০ কেজি মরিচ আমদানি করে। ভারতীয় মরিচ বাংলাদেশে প্রবেশের খবরে স্থানীয় বাজার গুলোতে একদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে প্রায় সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ টাকা।

আমদানি সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি ক্রয় মূল্য ২৩ টাকা ও ভ্যাট ৩২ টাকা মিলিয়ে ৫৫ কেজি দরে প্রতিকেজি মরিচ আমদানি করা হয়েছে। দেশে প্রচুর কাঁচা মরিচের সরবরাহ থাকলেও অসাধু ব্যবসায়িদের কারসাজিতে গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে  এক থেকে দেড়শ টাকার মরিচ বিক্রি হয় প্রতিকেজি ৫০০থেকে ১০০০ টাকা।   বৃষ্টিপাত ও গরমে  ঝালখেত নষ্ট হওয়া এবং ভারতীয় কাচাঁমরিচের আমদানি বন্ধ থাকার কারণে দাম বাড়ার অভিযোগ বিক্রেতাদের।

এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ২৫ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এমপোর্ট পারমিটি আইপি চালুর অনুমতি দেয়। এর ফলে দেশের বিভিন্ন শুল্কস্টেশন দিয়ে মরিচ আমদানিতে  এলসি খোলেন আমদানিকারকরা। রবিবার ভোমরা ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে মরিচ আমদানি। তবে আমদানিকৃত মরিচের বাজারজাত ও বিক্রির বিষয়ে মনিটরিং না করলে বাজারে বিরুপ প্রভাব পড়ার আশংকা করছে বন্দর ব্যবহারকারীরা।ভারতীয় মরিচ আমদানির খবরে কমেছে দাম। আমদানিকৃত মরিচ বাজারে না আসলেও দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকা। ফলে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে জানান ভোক্তারা।

বেনাপোল কাষ্টমসের ডেপুটি কমিশনার জানান, মরিচ আমদানি অব্যাহত থাকবে। দ্রুত কাচামাল খালাসে সহযোগিতা করছে কাষ্টম ও বন্দর সংশ্লষ্টরা। ভোমরা বন্দর দিয়ে সোমবার কাচা মরিচের চালান দেশে আসার কথা জানান সিএন্ডএফ সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালম মতিয়ার রহমান জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে খাদ্যপণ্য সহ সব ধরনের পণ্য সহজে আমদানি করা যায়। সেক্ষেত্রে  বাঁচে সময় শাশ্রয় হয় অর্থ। দেশের বাজার পড়ে স্বস্তি। কাঁচা মরিচ আমদানি সরকারের বেধে দেওয়া সাঁইত্রিশ হাজার টন মরিচ আমদানি করা যাবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ - আইন-আদালত