পোশাক রপ্তানির শীর্ষ দেশ চীনকে পেছনে ফেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে নিট পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ স্থান দখল করেছে বাংলাদেশ।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার বিজিএমইএ এই তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, চলতি বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি করেছে। আর চীন রপ্তানি করেছে ৮.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ইইউতে চীনের সামগ্রিক তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল পোশাকের মূল্যের দিক থেকে ১৮.৫৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
অন্যদিকে বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল ১৪.৮২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের তুলনায় চীন প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক বেশি রপ্তানি করেছে।
এতে দেখা যায়, নিট রপ্তানিতে বাংলাদেশ চীনকে টপকে ইইউতে শীর্ষ স্থান দখল করলেও সামগ্রিক পোশাক রপ্তানিতে চীন এখনো শীর্ষ স্থান দখলে রেখেছে।
বাংলাদেশের শীর্ষ স্থান অর্জনে বিজিএমইএর সদস্যদের কাছে লেখা চিঠিতে সংস্থাটির সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ঘটনাবহুল ২০২৩ সালের প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছি। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পরও তৈরি পোশাকশিল্প সক্ষমতা প্রদর্শন করে আসছে।’
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘ইইউতে নিট পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ ভালো করার অন্যতম কারণ হচ্ছে উচ্চমূল্যের পোশাক তৈরিতে বিনিয়োগকারীদের সাম্প্রতিক বিনিয়োগ।’
বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের পরিমাণের দিক থেকেও চীনকে পেছনে ফেলেছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বাংলাদেশ থেকে ৫৭১ মিলিয়ন কেজি নিট রপ্তানি হয়েছে। অন্যদিকে চীন থেকে এই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৪৪২ মিলিয়ন কেজি।
জানা গেছে, গত বছরেও বাংলাদেশ নিট পোশাকের পরিমাণের দিক থেকে চীনকে ছাড়িয়ে যায়। ২০২২ সালে ইইউতে পরিমাণের দিক থেকে মোট পোশাকের রপ্তানি ছিল ১.৩৩ বিলিয়ন কেজি।
অন্যদিকে চীন রপ্তানি করেছে ১.৩১ বিলিয়ন কেজি পোশাক। পরিমাণের দিক দিয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করার পরও মূল্যের দিক থেকে বাংলাদেশ চীনের চেয়ে ৭.৩ বিলিয়ন ডলার কম রপ্তানি আয় করতে পেরেছে।