ভারতের দিল্লি ও নয়ডায় যমুনা নদীর পানির উচ্চতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে যমুনার পানি ২০৭ দশমিক ৫৫ মিটার উচ্চতায় (প্রায় ৬৮১ ফুট) প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতে গত জুন মাসে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এ পর্যন্ত ৬২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে অনেক রাজ্যে বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে।
চলতি বছর হিমাচল প্রদেশে বর্ষার সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। এখানে ২২৩ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সোলান এবং উনার জন্য সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, এই বর্ষা মৌসুমে এ পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে ৯৯ জন মারা গেছে, যেখানে ২০২২ সালে ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গুজরাট রাজ্যের পরিসংখ্যান হিমাচলের চেয়ে বেশি কারণ একই বছরে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের ফলে গুজরাটে ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছিল এবং পরে ভারী বর্ষণের পরে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গুজরাটে মোট ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্ণাটকে ৮৭ জন এবং রাজস্থানে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পাঞ্জাবে ১১ জন এবং হরিয়ানায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে গত বছর মৃত্যুর সংখ্যা কম ছিল। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা ও পাতিয়ালা, হরিয়ানার যমুনানগর ও কারনাল এখনও পানির তলায় রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এ বছর আসামে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনার পর ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম। এ ছাড়া মণিপুরে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ১৫ জুন পর্যন্ত মধ্য প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে ৯২ জন মারা গেছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস ও পার্সটুডে।