পহেলা আগস্ট কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নে কাচিচরে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার ১লা আগষ্ট বিকেলে সদর উপজেলার ভোগডাঙা কুরিয়ার বাজার ছড়ার পাড়ে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।ঐতিহ্যবাহী এ খেলায় অংশ গ্রহন করে প্রথম স্থান অধিকার কর হলোখানা পিকড়ার খাট নামের দশের দোয়া ভাই ভাই।২য় স্থান অধিকার করেন জামালপুর জেলার গাজি সৈনিক ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন কুড়িগ্রাম জেলার বড়াইবাড়ি এলাকার সৌদি প্রবাসী নামের নৌকা।গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিযোগিতার উপভোগ করার জন্য দূরদূরান্ত থেকে হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশু কিশোরসহ সর্বস্তরের লোকজন ভিড় করেছেন।এছাড়া নৌকা খেলাকে ঘিরে বসেছে হরেক রকমের অস্থায়ী দোকান।এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন উপজেলার ছোট বড় মিলে ১২টি নৌকা অংশ গ্রহন করে।৫দিন ব্যাপি এ খেলায় অংশগ্রহন করেন কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সাত ভাই এন্টারপ্রাইজ ও ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, ফুলবাড়ি উপজেলার বাংলা বাজার এন্টারপ্রাইজ, দশ বন্ধু, মামা ভাগ্নে, হলোখানা ইউনিয়নের দশের দোয়া ও একতা,গাজী সৈনিক, তরীসহ আরও অনেক নৌকা। প্রথম পুরস্কার হিসাবে দেয়া হয় একটি মোটরসাইকেল ও দ্বিতীয় পুরস্কার একটি গরু ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে একটি বাইসাইকেলকেল তুলে দেন আয়োজকরা।এসময় উপস্থিত ছিলেন,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পাভেল রহমান,নৌকা বাইচ খেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি ,মোঃ পাতান ব্যাপারী,পাভেলসহ অনান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।নৌকা বাইচ দেখতে আসা সাংবাদিক ডা.জি.এম ক্যাপ্টেন মোঃহামিদ গাজী,জি.এম রাজসিয়াম,আকুল গাজী, মিন্টু গাজী,রাহাত ইসলাম, মো.রাজা মিয়া,আক্কাস বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর পর নৌকা খেলা দেখতে পেলাম।হাজার হাজার মানুষের ভীড়ে এ খেলা দেখার মজাই আলাদা।আমি চাই প্রতি বছর এই নৌকা খেলা চালু হোক।গ্রাম বাংলার অতীত ঐতিহ্য আবার ফিরে আসুক।কদমতলা গ্রামের আয়শা বেগম বলেন, আমি আমার পরিবারের সবাই মিলে নৌকা ভাড়া নিয়ে এ খেলা দেখতে এসেছি।খুব আনন্দময় একটা সময় কাটলো।এসময় আয়োজক কমিটির সভাপতি মোঃ পাতান ব্যাপারী ও নুরুল ইসলাম বলেন, গ্রাম বাংলার অতীত ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছরের ন্যয় এবারও স্থানীয় লোকজন নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এ খেলাটিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত টানা ৫ দিন ধরে খেলার সার্বিক সহযোগিতা করেছি, এবং সুষ্টভাবে নৌকা বাইচ শেষ করতে পেরেছি।