চলতি আগস্ট মাসের ২৫ দিনে ১৩২ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ১৪ হাজার ৪২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর আগে জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাস আয় এসেছিল দেশে। জুনে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা প্রায় ২.২০ বিলিয়ন ডলার।
তবে পরের মাসে (জুলাই) কিছুটা কমে যায় প্রবাসী আয়। আগস্টে সেটি আরো কমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, আগস্টের প্রথম ২৫ দিনে ১৩২ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে ১৬৫ কোটি ডলার বা ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসেবে দেশে, যা গত জুলাই মাসের চেয়েও অনেক কম।
জুলাইয়ে এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার।
আগস্টের ২৫ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দুই কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১৪ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
তবে এই সময়ে সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল এবং বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন দুই হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এযাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।