২১ নভেম্বর ২০২৪, এখন সময় সন্ধ্যা ৬:৫৩ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে ভেদাভেদ ভুলে ব্যবসায়ীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
আগস্ট ১৪, ২০২৪ ১১:২৮ অপরাহ্ণ

ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংঘাতিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রপ্তানি খাত। এরমধ্যে ২০ শতাংশের মতো রপ্তানি আদেশ চলে গেছে অন্য দেশে। ক্রেতারা এখনও বেশ আতঙ্কিত। এ পরিস্থিতিতে ভেদাভেদ ভুলে ব্যবসায়ীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে বিদেশিদের কাছে দ্রুত তুলে ধরতে হবে দেশের বর্তমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি। ১৪ আগস্ট রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘দেশের বর্তমান সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যত করণীয়’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি) এর সভাপতি মাহবুবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। সভায় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। সভায় অনেকেই শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআইতে দলীয়করণের অভিযোগ তুলে ধরে এফবিসিসিআইর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে ভেঙ্গে দেওয়ার দাবি তোলেন। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটাভুটির মাধ্যমে সরাসরি প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থার মাধ্যমে এ সংগঠনটি সংস্কারের দাবি তোলেন তারা। অন্য সংগঠনগুলোকেও দলীয়করণ মুক্ত করার দাবি জানান তারা।
মাহবুবুর রহমান সাম্প্রতিক ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়ে বলেন, এখনও আইন-শৃঙ্খলাকে নিয়মের মধ্যে আনা যায়নি। মনে হচ্ছে, দেশে যেনো স্থিতিশীলতা না আসে এবং নির্বাচন যেন দেরিতে হয় – এমন পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা হচ্ছে । এসব ষড়যন্ত্র দেশের সীমান্তের ওপারেও হচ্ছে। তাই এ সময় ব্যবসায়ী সমাজকে একতাবদ্ধ হতে হবে। মনে রাখতে হবে, আন্দোলন আর সরকার পরিচালনা করা এক জিনিস নয়। তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে শক্তিশালী করা না গেলে এবং সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া না গেলে ব্যবসায়ীদের সমস্যা থেকে যাবে। তাই ব্যবসায়ী সমাজকে একসাথে থাকতে হবে। এফবিসিসিআইর সংস্কার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মাহবুবুর রহমান বলেন, আগে সরকারি অন্য সংস্থাগুলোতে সংস্কার হোক। ১৫ বছর ধৈয্য ধরতে পারলে আপানারা ১৫ মাসও ধৈয্য ধরতে পারবেন না, এটা তো কথা হতে পারে না। এটাকে দলীয়করণ থেকে বের করা হবে।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, তিনি বিএনপি-আওয়ামী লীগ দুই আমলেই এফবিসিসিআইর সভাপতি ছিলেন। সবাইকে নিয়ে সমস্যা সমাধানে কাজ করেছেন। এখনও খাতভিত্তিক সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগ করাই সংগঠনের কাজ হবে। কে বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা জামায়াত করে তা দেখার দরকার নেই।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলীয়করণসহ বিভিন্ন কারণে তারা প্রতিনিধিত্ব করতে পারছেন না। একই সঙ্গে তিলে তিলে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আঘাত এসেছে। তাই এখন ব্যবসা পরিচালনার জন্য যা করা দরকার, তা আগে করতে হবে। এরপর ব্যবসায়ী সংগঠন সংস্কার করা যাবে। দুটো এক সাথে করতে গেলে এলোমেলো হয়ে যাবে।
এ কে আজাদ ব্যবসায়ীদের আহবান জানিয়ে বলেন, সবাই মিলে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে একটা বার্তা দিতে হবে যে, দেশ সুষ্ঠু আছে, ভালো আছে এবং বৈশ্বিক আমদানি-রপ্তানিতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। কারণ রপ্তানিকারকরা সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে রপ্তানি আদেশের ২০ শতাংশ অন্য দেশে চলে গেছে। বায়াররা বলছেন, তারা এক দেশের উপর পুরোপুরি নির্ভর থাকতে চান না। তিনি বলেন, এখনও অনেক যন্ত্রনার মধ্যে রয়েছে শিল্প-কারখানা। পরিস্থিতি শান্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ৪০ বছরে তিলে তিলে গড়া ব্যবসা শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না। তাই জরুরি ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ করা হয়েছে। তারপরও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। ৫-৬ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্চে। ডিজেলে টেক্সটাইল মিল চালানো যায় না।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের সবাইকে একত্র হয়ে থাকতে হবে। বিভেদ থাকা যাবে না। এফবিসিসিআই সংস্কার করা দরকার।
এফবিসিসিআইর সাবেক সহসভাপতি আবুল কাশেম হায়দার বলেন, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সব সংগঠন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। তারা ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। নমিনেটেড প্রথা বাদ দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি রাজনীতি ছাড়া হয় না। সংগঠনে দিনের ভোট যেন রাতে না হয়। বলেন, এখন থেকে তালি আর তেল মারা কমাতে হবে। সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সবুর খান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এস এম ফজলুল হক, বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল প্রমুখ।

সর্বশেষ - আইন-আদালত