১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, এখন সময় রাত ৪:৪৫ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

আগামী ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫ ২:৫৬ অপরাহ্ণ

বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশের অংশগ্রহণে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ১৩তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এ মেলা হবে। মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। টোয়াবের পক্ষ থেকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় ২২০টি স্টল থাকবে। মেলায় অংশ নেবে- মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপসহ ২০টি দেশের প্রতিনিধি ও পর্যটন খাতের দেশি-বিদেশি দুই হাজারের বেশি ব্যবসায়ী। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পর্যটনের প্রচারে এবারের মেলায় প্লাস্টিকের কোনো ব্যবহার থাকবে না। পাশাপাশি দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হবে। মেলা উপলক্ষে প্রথমবারের মতো চালু করা হবে মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপ ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা ভেন্যুর মানচিত্র ও স্টলের অবস্থান সহজেই খুঁজে পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টোয়াবের মেলাবিষয়ক পরিচালক তসলিম আমিন। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন টোয়াবের পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুছ। এছাড়া বক্তব্য দেন টোয়াব ও খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
মূল প্রবন্ধে তসলিম আমিন বলেন, মেলার প্রথম দিনে থাকবে বাংলাদেশ নিয়ে উপস্থাপনা, পর্যটন খাত নিয়ে তথ্যচিত্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় দিনে ব্যবসায়ী পর্যায়ে আলোচনার জন্য আলাদা আলাদা সেশন থাকবে। এবারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ একটি আন্তর্জাতিক ক্রুজ ট্যুর প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ। এছাড়া চিকিৎসা পর্যটনকে গুরুত্ব দিতে ২০টি আন্তর্জাতিক হাসপাতালও মেলায় অংশ নেবে। ট্যুরিজম, হসপিটালিটি ও এভিয়েশন বিষয়ে কাজ করা তিন সাংবাদিককেও সম্মাননা এবং দেশ ও বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সায়েমা শাহীন সুলতানা বলেন, ‘বিশ্ব জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ১১ শতাংশ। এশিয়ার অনেক দেশের অবদান ৬ শতাংশের বেশি। মালদ্বীপ, নেপাল ও ব্যাংককের জিডিপিতে বড় অবদান রাখছে পর্যটন খাত। আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অন্য কোনো দেশের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তবে প্রচারের অভাবে আমাদের পর্যটন খাত সেভাবে অবদান রাখতে পারছে না।’
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক (বিপণন ও ব্র্যান্ডিং) মহিবুল ইসলাম বলেন, আগে এই মেলা দেশীয় পর্যটনকেন্দ্রিক হলেও এবার বিদেশি পর্যটন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের পর্যটন খাতে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘এবারের মেলায় পাকিস্তান, ইরান, ভারতসহ প্রায় ২০টি দেশের ২৫০-এর বেশি ট্যুর অপারেটর অংশ নেবে। এছাড়া বেশ কিছু পরিচিত ব্লগাররাও অংশ নেবেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলাদেশকে নিজ দেশে পরিচয় করানো ও আমাদের পর্যটন সম্ভাবনা প্রচার করা। দেশে অক্টোবরে অভ্যন্তরীণ পর্যটন বেশ সক্রিয় থাকে। তাই আমরা অক্টোবরকে মেলার সময় হিসেবে নির্ধারণ করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি, তাতে সাধারণ মানুষের মতো আমরাও কিছুটা শঙ্কিত। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেই বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসবেন। দেশি পর্যটকেরাও নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করবেন। তাই দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা পর্যটন খাতের জন্য খুবই জরুরি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- টোয়াবের প্রথম সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী, এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সভাপতি তানজিম আনোয়ার প্রমুখ।

সর্বশেষ - আইন-আদালত