কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে অভিযান চালিয়ে দেড় লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং একটি কাঠের নৌকা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, সোমবার ভোরে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ১.৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে আশিকানি নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়কের নেতৃত্বে সাবরাং বিওপি থেকে একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানের আড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল ৪ জন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্ণিত স্থানে নাফ নদীর কিনারায় আসতে দেখে। নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় আরোহিত ব্যক্তিরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা থেকে লাফিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত পার্শ্ববর্তী কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়।
এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে একটি কাঠের নৌকার ভিতর থেকে কালো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৩টি পোটলা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়। টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদের শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।