এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ঘোষণা হতে যাওয়া মুদ্রানীতিতে আবারও বাড়ানো হচ্ছে নীতি সুদহার।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মার্কিন ডলারের পাশাপাশি স্থানীয় টাকার সংকট, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা এবং নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাংক খাত—মোটাদাগে এই সবই হচ্ছে এখন দেশের আর্থিক খাতে প্রধান সমস্যা।
এসব চ্যালেঞ্জ নিয়েই জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিবিএসের তথ্য মতে, এখন মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে ঋণের সুদহার বাড়ানো হয়েছিল। যদিও সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে দেখা যায়নি।
সর্বশেষ গত মে মাসে দেশে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৯.৮৯ শতাংশ ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগের মুদ্রানীতিগুলোর মতো ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতেও সংকুলানমুখী ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এ ক্ষেত্রে সুদহার আরো বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে। বাড়ানো হতে পারে নীতি সুদহার, রেপো, রিভার্স রেপোর মতো মুদ্রানীতির মৌলিক সুদ কাঠামোগুলোও।
এ ছাড়া ডলারের দর পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা হতে পারে। ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল নির্দেশিত ‘ক্রলিং পেগ’ নীতি চালু করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, তবে এতে লক্ষ্য অনুযায়ী সুফল পাওয়া যায়নি। এ জন্য আসন্ন মুদ্রানীতিতে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি আগের মতোই রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।