শর্ত সাপেক্ষে দেশের আর্থিক খাত সংস্কারে সব ধরনের সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি। ২৯ সেপ্টেম্বর এই দু’টি সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই অর্থ পাওয়া গেলে ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কারে ব্যয় হবে। ঋণ সহায়তার পরিমাণ কত তা জানাননি তিনি। অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংকের বৈঠকে ঋণের পরিমাণ চূড়ান্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। অবশ্য এর আগে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় সাইডলাইন বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বব্যাংক সাড়ে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন খাতে সংস্কার সহযোগিতায় বাংলাদেশকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা। বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে এই ঋণ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
অজয় বাঙ্গা বলেন, নতুন ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে দুই বিলিয়ন ডলার এবং বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে দেওয়া হবে আরও দেড় বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংক ডিজিটাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং পরিবহণ খাত সংস্কারে এই সহায়তা করবে।