তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী যথাযথ সুযোগ ও প্রশিক্ষণ পেলে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। আগামী দিনে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে দেখা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
২৬ জুলাই ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ বুধবার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী থার্ড জেন্ডার ও ট্রান্সজেন্ডারদের আইসিটি বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে ‘আইসিটি প্রশিক্ষণ কোর্স’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, প্রত্যেককে সমান মর্যাদা দেয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য স্মার্ট জব ফেয়ারের আয়োজন করা হবে। এই ফেয়ারে চাকরিদাতারা অন স্পট চাকরি দেবেন। আর অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে আইসিটি বিভাগ ১২টি স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা করেছে। ঢাকাসহ পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলাতেই হবে। তিনি আরো বলেন, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যে কোডার্স ট্রাস্ট এর মাধ্যমে ৫৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে তৃতীয় লিঙ্গের ৫ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে। এছাড়া দেশের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সেলফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড এন্ট্রারপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সীড)’ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলেও প্রতিমন্ত্রী জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের ভালোবাসেন, তার বড় প্রমাণ তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া। নাগরিক সনদপত্রে মায়ের নামের পাশাপাশি লিঙ্গের স্থানে তাদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আইনগতভাবে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এটা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে কোডার্স ট্রাস্ট চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদ ও সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার প্রতিষ্ঠাতা সালেহ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।