২১ নভেম্বর ২০২৪, এখন সময় বিকাল ৩:৩৩ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

ধেয়ে আসছে প্লাবন, ফেনীর দুই উপজেলার ৭৬ গ্রাম প্লাবিত

প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, ফেনী
আগস্ট ৪, ২০২৪ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৬টি স্থান ভেঙে ৭৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ৪ আগস্ট সকালে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২ আগস্ট পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে মালিপাথর, দক্ষিণ শালধর ও পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়। গত মাসেও বাঁধের একই স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। দুপুরের দিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বক্স মাহমুদ ইউনিয়নে কহুয়া নদীর টেটেশ্বর এলাকায় একটি ও সাতকুচিয়া এলাকায় বাঁধের দুইটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে সাতকুচিয়া, বাঘমারা, টেটেশ্বর ও চাড়িগ্রাম এলাকার শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বিকেলের দিকে মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম মির্জানগর এলাকায় সিলোনিয়া নদীর বাঁধে ভাঙন শুরু হয়। এতে কালীকৃষ্ণ নগর, পশ্চিম মির্জানগর, গদানগর, মনিপুর, ছয়ঘরিয়া ও সত্যনগর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া রাতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার মোট ১৬টি স্থানে ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে। এখনো পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ৫০টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। এদিকে ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০০ পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ ও আরো ২৫০ প্যাকেট খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১৩ মেট্রিক টন চাল বিতরণ ও ৫ মেট্রিক টন মজুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পরশুরামে ৩ আগস্ট স্থানীয় সংসদ সদস্য আলা উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূইয়াসহ জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ. দা.) মো. আবুল কাশেম বলেন, এর আগে কখনো এতো পানি দেখা যায়নি। গত দুইদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পানিতে মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৬টি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বাঁধের আরো কয়েকটি অংশে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে নতুন করে আর ভাঙনের শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত