বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে ঢাকাসহ সারাদেশে সংঘর্ষে ৮৬ জন (কম-বেশি হতে পারে) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি থানারই ১৩ জনসহ ১৪ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েক শ’ মানুষ। ৪ আগস্ট দিনভর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
আজ ৪ আগস্ট সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে – নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ ২০ জন, কিশোরগঞ্জে ৪ জন, রাজধানী ঢাকায় ৪ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৪ জন, কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন, শেরপুরে ২জন, জয়পুরহাটে ১ জন, হবিগঞ্জে ১ জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৮৬ জন নিহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আজ ৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামীকাল ৫ আগস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং সারাদেশের নিম্ন আদালত বন্ধ ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি একদিন এগিয়ে আগামীকাল ৫ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ নিজের ফেসবুক আইডিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি লেখেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এক জরুরি সিদ্ধান্তে আমাদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ৬ আগস্ট থেকে পরিবর্তন করে ৫ আগস্ট করা হলো। তিনি আগামীকালই সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার আহবান জানিয়েছেন।