বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির মধ্যেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো আইএমএফ। গতকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএমএফ রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলেও তারা বাংলাদেশ ও এর জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত বছরের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। এই ঋণ কর্মসূচি আগামীতে অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে যা সহায়তা করবে। এদিকে বাংলাদেশের জন্য গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদনের পর ইতোমধ্যেই তিন কিস্তিতে ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। আইএমএফের এই ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে প্রতিটি কিস্তি পেতে বেশ কিছু শর্ত পরিপালন করতে হচ্ছে। গত জুনভিত্তিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে দেওয়া শর্ত বাস্তবায়নের ভিত্তিতে চুতর্থ কিস্তি ছাড় করার কথা রয়েছে। শর্তের অন্যতম হচ্ছে– জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ১৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা। একই সময়ে কর-রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।