তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। এদিকে নিজের এই বিজয়কে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে অভিহিত করেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
গণমাধ্যমটি বলছে, সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলের পর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার বিজয়কে গণতন্ত্রের বিজয় হিসেবে অভিহিত করেছেন। রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সের আঙিনায় জড়ো হওয়া কয়েক হাজার সমর্থকের সামনে বক্তৃতা করার সময় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে রোববারের রান অফ ভোটের প্রকৃত বিজয়ী ৮৫ মিলিয়ন তুর্কি নাগরিক এবং তুর্কি গণতন্ত্র বলে ঘোষণা দেন।
এরদোয়ান বলেন, ‘আমরাই একমাত্র বিজয়ী নই। এই নির্বাচনে তুরস্কের জয় হয়েছে, আমাদের গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে।’ মধ্যরাতের এই বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি আরও বলেন, ‘আজ কেউ হারেনি। তুরস্কের ৮৫ মিলিয়ন নাগরিক জিতেছে। আর এখন আমাদের জাতীয় লক্ষ্য এবং জাতীয় স্বপ্নকে ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।’
এরদোয়ানের জয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা তাকে অভিনন্দন জানানো শুরু করেছেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি নতুন করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ এ বিজয়কে এরদোয়ানের সফলতা ও নীতির প্রতি তুরস্কের জনগণের আস্থা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ানের তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়াকে প্রশ্নাতীত বিজয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিও এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া ফিলিস্তিন, আজারবাইজান, সার্বিয়া থেকেও এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
২৮ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এই ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নিয়ম অনুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়। ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বের ভোটে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচিত হতে পারেননি বর্তমানে ক্ষমতাসীন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। অল্পের জন্য তাঁর ভাগ্য ঝুলে যায়। প্রথম দফার নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে এই নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। ফলে দেশটির নিয়ম অনুযায়ী আজ পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো।