৯ অক্টোবর ২০২৪, এখন সময় বিকাল ৩:১৯ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যাধিক কার্যকরী ফাংশনাল ফুড

প্রতিবেদক
ড. নিম হাকিম
মে ৩০, ২০২৩ ৫:০২ অপরাহ্ণ

বর্তমান বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে পাল্লা দিয়ে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটায় এ রকম প্রধান পাঁচটি কারণের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। পৃথিবীতে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ মারা যায় এবং প্রতি ১০ সেকেন্ডে দুইজন ডায়াবেটিক রোগী শনাক্ত হয়। তাই ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত জরুরি। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ পুরোপুরি বা সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় না। তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়। প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডায়াবেটিস নির্মূল করা সম্ভব, তবে তা সময় সাপেক্ষ।
ডায়াবেটিস কি?
ডায়াবেটিস হলো একটি গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা যেটি ঘটে যখন রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা দীর্ঘ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, কারণ- হয় শরীর যথেষ্ট পরিমাণে বা কোনো ইনসুলিন উৎপাদন করে না অথবা উৎপাদিত ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
ফাংশনাল ফুড
ফাংশনাল ফুড হলো- ঔষধি গুণাগুন, সম্পন্ন বিশেষ খাদ্য, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় কোন উপাদানের ঘাটতি পুরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাময়ে সহায়তা করে। ফাংশনাল ফুড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইউরোপ, আমেরিকা ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
বর্তমানে আমরা যে সব খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করি তাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকেনা, কারণ এর অধিকাংশই জেনেটিক্যালি মোডিফাইড বা জি এম ও এবং হাইব্রিড। এ সকল খাদ্য উৎপাদনে ক্ষতিকর কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে তা বিষাক্ত হয়ে শরীরে নানা রকম টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করে রোগ ব্যাধির সৃষ্টি করে। ফাংশনাল ফুড এসব বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে এমন কিছু ফাংশনাল ফুডস রয়েছে; যা শুধু ডায়াবেটিস নয়, ডায়াবেটিস সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সমস্যায় উপকারী। ইনসুলিন নির্ভর বা নির্ভর নয় উভয় ক্ষেত্রে ফাংশনাল ফুড কার্যকরী এবং পরীক্ষিত। এসব ফাংশনাল ফুডস সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, নিরাপদ এবং এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এবার জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যাধিক কার্যকরী এমন কিছু ফাংশনাল ফুডস সম্পর্কে-
নিম
নিম ডায়াবেটিস চিকিৎসায় কার্যকরী নিরাময়ক উপাদান সমৃদ্ধ। নিমে আছ ফ্লাভোনোয়েডস, টারপিনোইডস, এন্টি-ভাইরাল, কমপাউন্টস এবং গ্লাইসোইডস যা ব্লাড সুগার কমাতে সহায়তা করে।
নিমে আরও রয়েছে- এন্টি-ইনফ্লেমেটরী, এন্টিপাইরেটিস, এন্টি-মাইক্রোবায়াল, এন্টিডায়াবেটিক এবং বিভিন্ন ফার্মালোজিক্যাল প্রপাটিজ। পরীক্ষায় দেখা গেছে, নিম শুধু ডায়াবেটিস নয় বরং ডায়াবেটিস সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সমস্যায় ও উপকারী এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং নিরাময়েও সহায়ক। নিম রক্ত দূষণ রোধ নিরাময়েও উপকারী। এছাড়াও নিমের রয়েছে আরও বহুবিধ গুণাগুন।
রোজেলী
রোজেলী স্টাডি করে যে সব তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায় তাতে দেখা গেছে যে, রোজেলী ন্যাচারাল এন্টি-অক্সিডেটিভ সাপ্লিমেন্ট হিসাবে ব্যবহার হয়; যা ডায়াবেটিক রোগীদের অক্সিডেটিভ ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও রোজেলী ডায়াবেটিক রোগীদের ব্লাড পেসার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। রোজেলী ইন্সূলিন রেজিস্টেন্স কমাতে সহায়ক। রোজেলী ব্লাডের গ্লুকোজ লেবেল কমাতে এবং লিপিড প্রোফাইল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী। রোজেলী ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিরাময়ে এবং ফ্রী রেডিকেল ড্যামেজ কমাতেও সহায়ক।
মরিঙ্গা
মরিঙ্গার পাতায় রয়েছে কোয়েরাসেটিন যা একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং ব্লাড প্রেশার কমাতে সহায়তা করে। আরেকটি এন্টি- অক্সিডেন্ট হলো ক্লোরোজেনিক এসিড যা ব্লাড সুগার স্থিতিশীল রাখে। এই ক্লোরোজেনিক এসিড মরিঙ্গায় থাকার কারণে শরীর সুগার ভালোভাবে প্রসেস করতে পারে যা ইন্সুলিনে প্রভাব ফেলে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, মরিঙ্গা অলিফেরা ব্লাডের গ্লুকোজ লেবেল কমায় বিধায় তা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার হয়। এছাড়াও মরিঙ্গা অলিফেরা ইনসুলিন নিঃসরণ বৃদ্ধি করে।
মরিঙ্গায় এমন কিছু প্রাকৃতিক যৌগ এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। মরিঙ্গা হচ্ছে বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত এমন একটি উদ্ভিদ যা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক অবস্থায় এবং ইনসূনিল নির্ভর ডায়াবেটিসে ব্লাড সুগার কমায়। মরিঙ্গা অতি মাত্রায় প্রোটিন সমৃদ্ধ। মরিঙ্গা ফ্রি রেডিকেল ড্যামেজ কমাতে ও সহায়ক।
পারমাথেরাপী
পারমাথেরাপী একটি স্থায়ী নিরাময় পদ্ধতি যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কপি রাইট পেয়েছে। এই পদ্ধতি রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। পারমাথেরাপী একটি সমন্বিত নিরাময় পদ্ধতি যা প্রাচীন লোকজ নিরাময় জ্ঞান ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিরাপদ পদ্ধতি এবং ন্যাচারোপ্যাথিকে সমন্বয় করেছে।
পারমাথেরাপি ডায়া কেয়ার প্যাকেজ
নিম, রোজেলী ও মরিঙ্গা বিশেষভাবে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পারমাথেরাপী মতে এই প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। এই প্যাকেজ সেবন শুরুর আগে ব্লাড সুগার মেপে রাখুন এবং ১৫ দিন সেবনের পর আবার মাপুন, তাহলে এর কার্যকারিতা অনুধাবন করা যাবে। বিস্তারিত জানতে- mahakim63@yahoo.com

সর্বশেষ - আইন-আদালত