timewatch
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, দুপুর ১২:১৮ মিনিট
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন
শিরোনাম

বেগম রাহেলা করিম মাইজভাণ্ডারী তাসাউফের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন : এ কে নাহিদ, প্রধান নির্বাহী, বিশ্ব করিম মঞ্জিল দরবার শরীফ

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
অক্টোবর ২০, ২০২৩ ৮:০৯ অপরাহ্ণ

বেগম রাহেলা করিম মাইজভাণ্ডারীর ৯তম ওফাত দিবস উপলক্ষ্যে মহান ১৯ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার  দেশের বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বেগম রাহেলা করিম মাইজভাণ্ডারী ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ অক্টোবর এই নশ্বর জাহান থেকে ওফাত হন।

বেগম রাহেলা করিম মাইজভাণ্ডারীর বার্ষিক ৯তম ওফাত দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা নবাবগঞ্জ উত্তর বার্হ্রা বিশ্ব করিম মঞ্জিল পবিত্র রওজা শরীফের শাহী ময়দানে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছড়াও রাজধানী ঢাকা বসুন্ধরা জগন্নাথপুর কেন্দ্রীয় খানকা শরীফ, ত্রিমোহনী খানকা শরীফসহ বিশ্ব করিম মঞ্জিল দরবার শরীফের সকল খানকা শরীফে নিজ নিজ উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব করিম মঞ্জিল দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত শাহসুফি আলমগীর হোসেন মাইজভাণ্ডারী ঢাকা নবাবগঞ্জ উত্তর বার্হ্রা বিশ্ব করিম মঞ্জিল পবিত্র রওজা শরীফের শাহী ময়দানে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন। এছাড়াও বিশ্ব করিম মঞ্জিল দরবার শরীফের প্রধান নির্বাহী এ কে নাহিদ মাইজভাণ্ডারী ঢাকা বসুন্ধরা জগন্নাথপুর কেন্দ্রীয় খানকা শরীফ ও ত্রিমোহনী খানকা শরীফে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন।

এ কে নাহিদ বলেন, পীরে জামান হযরত মাওলানা আব্দুল করিম মাইজভাণ্ডারী প্রকাশ আব্দুল করিম মাওলানার সহধর্মিণী আমার গর্ভধারিণী মা বেগম রাহেলা করিম দারিদ্র্যের সঙ্গে আজন্ম যুদ্ধ করেছেন । বেগম রাহেলা করিম মাইজভাণ্ডারী তাসাউফের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি ঢাকা জেলার আরঘোষাইল গ্রামের হাজী বাড়ি এখলাস মুন্সির ধনী কন্যা হওয়া সত্ত্বেও স্বামীর দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করেছেন এবং তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়ার তাসাউফ চর্চা করেছেন আজীবন। তিনি আরো বলেন, আমার মা হাজী বাড়ির শরিয়ত ঘরণার পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। সুফিবাদীয় তাসাউফ চর্চা কারণে আমার মা বেগম রাহেলা করিম তাঁর সকল আত্মীয়-স্বজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং সকল আত্মীয়-স্বজন তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে ত্যাগ করেন। শুধুমাত্র তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়ার তাসাউফ চর্চার কারণে আমার মার জীবনে এমনি ঘটনা ঘটেছিল। তিনি বলেন, আমার মা সারা জীবন আমাকে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ যেতে বাঁধা দিতেন। আমি তার কথা অমান্য করে একাধিকবার তাঁকে না জানিয়ে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ গিয়েছি; শুধুমাত্র আমার জন্মদাতা পিতা আব্দুল করিম মাওলানা’র গোপন রহস্য জানার জন্য। আমি এখন আমার বাবার মতোই ‘তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া’র একজন গোলাম।

এ কে নাহিদ বলেন, আমার মা ফরিদপুরের বিখ্যাত রহমত পালের আদরের নানতি ছিলেন। তাঁর জীবন এগিয়ে চলার যৌবনকাল নানা বাড়ি পাল বাড়িতে কেটেছে । জীবনের শুরুতে তাঁর জীবনের ছন্দপতন হয়। আধুনিক পাল পরিবারে বেড়ে ওঠা আমার মায়ের বিয়ে হয় হযরত মাওলানা আব্দুল করিম মাইজভাণ্ডারীর সঙ্গে; বিষয়টি তাঁর নানা রহমত পাল মেনে নিতে পারেননি। এরই আলোকে ফরিদপুরের বিখ্যাত রহমত পাল জীবদ্দশায় কোনো দিন আমাদের বাড়িতে তাঁর আদরের নানতিকে দেখতে আসেননি। আমার মাকে করিম মাওলানার সঙ্গে বিয়ের দেওয়ার কারণে রহমত পাল আমার নানা এখলাস মুন্সিকে সারা জীবন দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেন, আমি আমার মার মুখে শুনেছি, আমার নানা এখলাস মুন্সি নাকি বেহেশত পাওয়ার আশায় আমার পাগল মাইজভাণ্ডারী বাবার সঙ্গে তাঁকে বিবাহ দিয়েছেন!

বেগম রাহেলা করিম স্বামীর সুফিবাদীয় তাসাউফ জীবন ব্যক্তিগত জীবনে ধারণ ও লালন করেছেন বলে তিনি জানান। তিনি ঘর-সংসার দেখার পাশাপাশি স্বামীর পাশাপাশি সুফিবাদীয় তাসাউফ চর্চার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি অবহেলিত-বঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন। তিনি সমাজের নানা কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন আজীবন।

ত্রিমোহনী খানকা শরীফ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মোতাহার হোসেন সরদার মাইজভাণ্ডারী, মোঃ গফুর উদ্দিন মাইজভাণ্ডারী, মোঃ সাইদুল ইসলাম মাইজভাণ্ডারী, আমেনা বেগম মাইজভাণ্ডারী, মোঃ মাহবুব আলম মাইজভাণ্ডারী, মোঃ আব্দুর রব মাইজভাণ্ডারী, মোঃ আল আমিন মাইজভাণ্ডারী, রফিকুল ইসলাম মাইজভাণ্ডারী, রুবেল মাইজভাণ্ডারী,  আবু সাইদ মাইজভাণ্ডারী, মাজেদা বেগম মাইজভাণ্ডারী, ফাতেমা মাইজভাণ্ডারী, মজিবুর রহমান মাইজভাণ্ডারী, রাজিয়া বেগম মাইজভাণ্ডারী, স্বর্না খাতুন মাইজভাণ্ডারী প্রমুখ।

সর্বশেষ - ধর্মতত্ত্ব