আজ ১২ ভাদ্র। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল।তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ ছিলেন। তাঁর লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। নজরুল বাংলা ভাষা সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে বিদ্রোহী কবি। তিনি একাধারে ছিলেন সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, গায়ক ও অভিনেতা। সংগীতে তার অনবদ্য অবদান এখনো উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। তিনি শৈশব থেকেই কঠিন দারিদ্র্য মোকাবিলা করে বড় হয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে কবি নজরুলকে সপরিবার বাংলাদেশে আনা হয়। তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে কবিকে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদকে ভূষিত করা হয় কবিকে।
তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সাহিত্যপ্রেমীসহ সর্বস্তরের মানুষ আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।