অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান। ১৪ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। পৃথক প্রজ্ঞাপনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে অপসারণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের (পরিচিতি নম্বর ২২২৫) সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৭ অনুযায়ী সিনিয়র সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান পদে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ এতদ্বারা বাতিল করা হলো।
মো. আবদুর রহমান খান গত ১৯ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বিসিএস ১৩তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর) ক্যাডারে যোগদান করেন। পরে উপসচিব হিসেবে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি সহকারী কমিশনার (কর), উপকমিশনার (কর), যুগ্ম কমিশনার (কর), কর পরিদর্শন পরিদপ্তরের উপ-মহাপরিচলক, বিসিএস কর একাডেমির পরিচালক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সরকারের উপসচিব হিসেবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে এবং উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অর্থ বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থ বিভাগে কর্মরত থাকাকালীন তিনি বাজেট, বাস্তবায়ন, প্রশাসন এবং ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া সিভিল সার্ভিসের গণ্ডির বাইরে তিনি জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজার এবং পূর্ব তিমুরে বিশ্বব্যাংকের কনসালটেন্ট হিসেবে পেট্রোলিয়াম ট্যাক্স নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং যুক্তরাজ্যের আলস্টার বিশ্ববিদালয় থেকে গভর্মেন্ট ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট কোর্স, পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
আবদুর রহমান খান এফসিএমএ ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর কাউন্সিল সদস্য, কোষাধ্যক্ষ, সচিব ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পেশাদার অ্যাকাউন্ট্যান্টদের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।