সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে দলবল নিয়ে একটি মাজার ভাঙচুর এবং মাজারের গায়ে পা দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে এক মসজিদের ইমামকে চাকরিচ্যুত করেছে গ্রামবাসী। ৩১ আগস্ট উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের শালগ্রাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম গোলাম রব্বানীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর আগে ২৯ আগস্ট রাতে পার্শ্ববর্তী বামনজানি বাজারের পাশে আলী পাগলার মাজার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর এসংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৯ আগস্ট শালগ্রাম তমিজ উদ্দীনের বাড়ি জামে মসজিদের পেশ ইমাম গোলাম রব্বানীসহ শতাধিক মানুষ বামনজানি বাজারের পাশে অবস্থিত আলী পাগলার মাজারের গিয়ে তাণ্ডব চালায়। তারা হাতুরী, কোদাল, শাবল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে মাজারের সব স্থাপনা ভাঙচুর করে এবং মাজারের ওপরে উঠে পা দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনায় মুহূর্তেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মাজার ভাঙচুরের প্রতিবাদে ৩০ আগস্ট রাতে শালগ্রাম বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। এ বিষয়ে শালগ্রামের বাসিন্দা আজগর আলী ও আব্দুর রহমান বলেন, একজন মুসলমান হয়ে আরেকজন মুসলমানের কবর কিভাবে পা দিয়ে আঘাত করে অসম্মান করতে পারেন। গোলাম রব্বানী একজন মসজিদের ইমাম হয়েও দলবল নিয়ে মাজার ভেঙেছেন এবং পা দিয়ে কবরে আঘাত করেছেন। এমন ইমামের পেছনে আমরা আর নামাজ পড়ব না। এ কারণে ৩১ আগস্ট ফজরের নামাজ পড়াতে এলে ইমাম গোলাম রব্বানীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
কাজিপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, মাজার ভাঙচুরের কথা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।