লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝর্ণা আক্তার সুমি (২৬) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অপর এক নারী ও শিশুসহ গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন।
২৮ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রবিবার সকালে লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের মিয়ারবেড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
নিহত সুমি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ এলাকার সালেহ আহম্মেদ রুবেলের স্ত্রী। আহতরা হলেন- অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারী ও এক শিশু, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী জুয়েল হোসেন। তারা সবাই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুর দক্ষিণ তেমুহনী থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি কমলনগরের দিকে যাচ্ছিল। তখন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক রামগতি থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই সুমি মারা যান। তখন নারী ও শিশুসহ আরও তিনজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তির করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন।
