জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রোগী হয়রানি ও চিকিৎসাসেবা বঞ্চিতের প্রতিবাদসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘নিরাপদ হাসপাতাল চাই’ (নিহাচ)’।
২৭ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
সংগঠনের নেতাদের দাবি, দালালমুক্ত ও রোগীবান্ধব হাসপাতাল গড়তে হবে, জেলা সদরে আইসিইউ, সিসিইউসহ সব পরীক্ষা নিশ্চিত ও আসন বাড়াতে হবে, রোগী ও চিকিৎসকদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে হবে। টেস্ট ফি এবং ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এসব সেবা নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সংগঠনটির সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার ফকর উদ্দিন মানিক বলেন, দেশে এত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে, এ দায় কার?
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে গড়ে উঠেছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়, কিন্তু দালাল, অসাধু চিকিৎসক-নার্স দিয়ে আদৌ সেটা সম্ভব? প্রায় এক দশক ধরেই স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ থাকে জাতীয় বাজেটের ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে। স্বাস্থ্যসেবা পেতে নিজেদের ৬৮ শতাংশ ব্যয় করতে হয়। আমরা আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে অন্তত ১০ শতাংশ বরাদ্দ চাই। সঠিক স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হলেই হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ।
সংগঠনের সদস্য সচিব এফ এ শাহেদ বলেন, সরকারি হাসপাতালে যেখানে একদফা রেডিওথেরাপির জন্য ২০০ থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া হয়, সেখানে বেসরকারিতে প্রতি দফা ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য একবারে ২০ থেকে ৩০ দফা থেরাপি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে এক টার্ম থেরাপি সরকারি হাসপাতালে ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় শেষ হলেও, বেসরকারি খাতে একটার্মে খরচ হয় ১ থেকে ২ লাখ টাকা। এ অবস্থায় প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। দেশে ১৭০টি ক্যানসার হাসপাতাল দরকার থাকলেও আছে ৩৪টি, সেগুলোতে চিকিৎসার পরিবর্তে হয়রানি আর ভোগান্তিই বেশি।
সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার ফকর উদ্দিন মানিকের সভাপাতিত্বে ও এফএ শাহেদের সঞ্চালনায় এ মানববন্ধন হয়।