পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইটে রূপান্তরের সাথে সংশ্লিষ্টদের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি এন্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ব্লক ইটে রূপান্তরের সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনা, প্রশিক্ষণ-সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। ব্লক ইটে রূপান্তর সহজ করার জন্য, সকল প্রকারে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য সরকার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়। তিনি বলেন, পরিবেশের মানোন্নয়ন-সহ সকল প্রকার উন্নয়ন টেকসই করতে প্রাইভেট সেক্টরের সহযোগিতা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষিজমি সংরক্ষণে সরকারি নির্মাণ কাজে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের নিয়ে আজ পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।
পরিবেশ সচিব বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বায়ুমানের উন্নতির সাথে সাথে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা হবে। নাগরিকদের সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ কমানো সংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার-সহ অন্যান্য বিষয়ে অংশীজনদের সকল সুচিন্তিত পরামর্শ স্বাগত জানানো হবে। বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষি জমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন নির্মাণে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এডিমন গিন্টিং, কান্ট্রি ডিরেক্টর, এডিবি, বাংলাদেশ অফিস এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী। দু’টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন হাউস বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মোঃ নাফিজুর রহমান এবং ব্লক ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, এএফডব্লিউসি, পিএসসি (অব.)। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, বেসরকারি সংস্থা, সমিতি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।