জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্রের পথচলা সহজ হয়েছে। এই সরকার প্রচুর সংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমোদন দিয়েছে। সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২ জুন ২০২৪ রবিবার বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনুর সভাপতিত্বে সম্মেলনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র নাসিমুন আরা হক মিনুকে সভাপতি ও শাহনাজ সিদ্দীকি সোমাকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনুর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা। অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের অর্থ সম্পাদক আক্তার জাহান মালিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সংবাদপত্র জনমত গঠনে ভূমিকা পালন করে। তাই নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সদস্যরা নারী নির্যাতন বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে নারী সংকটের বিরুদ্ধে জোরালো মতামত গঠন করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, গণমাধ্যম জনগণের কথা বলে। জনসচেতনতা ও জনমত গঠনে সংবাদপত্র কাজ করে থাকে। এছাড়া নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সদস্যরা মানসম্পন্ন এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে গণতন্ত্রের ধারা সুসংহত করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের যুগে তথ্য প্রবাহ ও তথ্য প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে নারী সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিত করা সময়ের দাবি। সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরা প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের দীর্ঘ ২৪ বছরের পথচলা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এক অনন্য অর্জন। নারী সাংবাদিকদের পেশাগত ঝুঁকি নিরসনে সংগঠনটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।