এবারের বন্যায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে কুড়িগ্রামের মৎস্য চাষীরা। বানের পানিতে তলিয়ে ভেসে গেছে ৩ হাজার ৮৭ পুকুরের মাছ। এসব খামারির প্রায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ।
কুড়িগ্রাম মৎস্য বিভাগ জানায়, বন্যার পানিতে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর আয়তনের এসব খামার ও পুকুর পানিতে তলিয়ে ২০৮ মেট্রিক টন মাছ ও পোনা ৪২ লাখের ক্ষতি হয়েছে।
টানা দুই সপ্তাহের বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়ে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তার অববাহিকার ৯ উপজেলার ৫৫ ইউনিয়ন। অপর দিকে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। এছাড়াও বন্যায় কাঁচাপাকা সড়কসহ চরাঞ্চলের ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঠের পাড় এলাকার পাপ্পু মিয়াজি বলেন, দুই মাস আগে পুকুরে কিছু পোনা ছেড়েছি। এবার বানের পানিতে সব বাহির হয়ে গেছে। নেট জাল দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু রক্ষা করতে পারি নাই। এছাড়াও আমাদের এলাকার আরও অনেকের পুকুর তলিয়ে মাছ বাহির হয়ে গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান বলেন, বন্যায় আমার প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মৎস্য চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা করেছি। সরকার থেকে কোন প্রকার সহায়তা পেলে তাদেরকে দেয়া হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি ৬টি পয়েন্টে হ্রাস পেয়ে বিপদসীমা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে। আগামী আরও ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত নদ নদীর পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।