সারাদিন নিয়ম করে খাবার খাওয়া সত্ত্বেও আপনার ঘনঘন ক্ষুধা লাগছে? যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে এর পিছনে কারণ আছে। আমাদের ক্ষুধা লাগবে বিষয়টি স্বাভাবিক কিন্তু দুপুরে খাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর বা রাতের খাওয়ার পর যদি ক্ষুধা লাগে তবে তা চিন্তার বিষয়।
ক্ষুধা লাগলে পেটের মধ্যে অনেক সময় শব্দ হয়। সেই সাথে মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়, মাথা ব্যথা করে।
কিন্তু সব সময় যদি ক্ষুধা লাগে তবে তা স্বাভাবিক না। আর আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে থাকেন তাহলে এই ক্ষুধা আরো জটিল সমস্যা তৈরি করবে।
ঘন ঘন খিদে লাগার বিশেষ কিছু কারণ আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
খাবারে প্রোটিনের অভাব:
প্রোটিন জাতীয় খাবার শরীরে যেমন পুষ্টি উপাদান যোগায় সেই সাথে পেটও অনেকক্ষণ ভরা রাখে। প্রোটিন থেকে লেপটিন নামক এক হরমোন উদ্দীপিত হয় যা ক্ষুধা ভাব কমায়। এজন্য আপনি যদি ওই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন যোগ করুন।
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম, টুনা মাছ, ছোলা, আলমন্ড বাটার, ডাল, টোফু, টক দই, পিনাট বাটার, কুমড়ার বীজ এবং চিংড়ি।
ভালো ঘুম না হওয়া:
প্রয়োজনমত না ঘুমালে আপনার স্বাস্থ্য ভেঙে যেতে পারে। শরীরের সঠিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। শরীরকে বিশ্রাম না দিলে শরীর ঘ্রেলিন নামক হরমোন উৎপাদন করে যা ক্ষুধা বাড়ায়। একজন সুস্থ ও পূর্ণবয়স্ক মানুষের কমপক্ষে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম দরকার।
খাবারে ফ্যাট ও ফাইবারের অভাব:
ফ্যাট ও ফাইবার শরীরে ঘ্রেলিনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে লেপটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
খাবার তালিকায় ফ্যাট ও ফাইবার না থাকলে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে। ফ্যাট ও ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীরগতি সম্পন্ন করে যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
এজন্য খাবার তালিকায় বাদাম, অলিভ অয়েল, শিমের বিচি, অ্যাভোকাডো,বেরি, ব্রকলি, ড্রাই ফ্রুটস , পপকর্ন,আপেল, ফ্লাক্স সিড রাখুন।
মনে রাখবেন সুস্থ থাকতে ভালো খাবার খাওয়ার পাশাপাশি রাতের ঘুমও অনেক জরুরি।