তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা আরো ১০ বছর পাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশটিতে সম্প্রতি নতুন অর্থবিল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাতে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত দেশটিতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে কোনো শুল্ক দিতে হবে না।
২৭ আগস্ট ২০২৩ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এসব তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) স্কিমের আওতায় কানাডা উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে।
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কানাডার বাজারে কোটামুক্ত ও শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে। এ সুবিধা জিপিটির আওতায় পড়ছে, যা প্রতি ১০ বছর পর পর নবায়ন করা হয়। জিপিটির বর্তমান সুবিধার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে।
বাংলাদেশের জন্য ভালো খবর হচ্ছে, কানাডার সংসদ সম্প্রতি নতুন একটি অর্থবিলের অনুমোদন দিয়েছে, যেখানে জিপিটি ব্যবস্থায় প্রাপ্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা ২০৩৪ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
এতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কানাডা সরকার জিপিটির আওতায় আরেকটি স্কিম চালু করেছে, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জিপিটি প্লাস’। এই প্রস্তাবে জিপিটির আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে উন্নয়নশীল দেশগুলো। যেসব উন্নয়নশীল দেশ তাদের পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার মানায় উন্নতি দেখাতে পারবে এবং পরিবেশগত মানদণ্ড মেনে চলবে, সেসব দেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে, যা জিপিটি প্রগ্রামের বাইরে বাড়তি সুবিধা হিসেবে দেওয়া হবে। এটি মূলত কানাডার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সুবিধার সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে।
এতে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেও ২০৩৪ সাল পর্যন্ত কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়াটি যাতে সহজ হয় এ জন্য বড় বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে বিজিএমইএ। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য থেকে সাড়া পাওয়া গেছে, একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সরকারের কর্মকর্তারাও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন।