৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, এখন সময় ভোর ৫:৩২ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

আসামে বন্যায় মৃত্যু ৩৪, পানিবন্দি সাড়ে ছয় লাখ মানুষ

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই ৩, ২০২৪ ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখানে আরো কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করছে রাজ্যটি। বন্যার কারণে রাজ্যটির ১৯ জেলার প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

আসাম রাজ্য সরকার সূত্র বলছে, টানা বৃষ্টির কারণে বিপত্সীমা ছুঁয়ে ফেলেছে ব্রহ্মপুত্র, বুড়িডিহিং, সুবনসিরি, ধানসিঁড়ি, জিয়া ভরালি, পুথিমারি, বেকি, গুরুং, সঙ্কোশসহ বিভিন্ন নদী। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের বিস্তীর্ণ অংশ এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, আবহাওয়া বিভাগ আরো বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।

আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ফোন করে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

আসামের বিশ্বনাথ, কাছাড়া, চড়াইদেহ, দারং, চিরাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাটা, জোরহাট, কামরূপ, লখিমপুর, শিবসাগর, সোনিতপুর, মরিগাঁও, নগাঁও, মাজুলি, করিমগঞ্জ, তামুলপুর, তিনসুকিয়া, নলবাড়ি জেলার অবস্থা শোচনীয়।

আসাম রাজ্য সরকারের দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে বন্যাপ্লাবিত জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।
এসব শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে আট হাজার ১৪২ জন মানুষ। শিগগিরই আরো ৬৪টি শিবির খোলা হবে বলে জানিয়েছে দপ্তর। বন্যার কারণে গণ্ডার, বুনো মহিষ, হরিণসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কাও বাড়ছে।

আসাম বন দপ্তর জানায়, কাজিরাঙার ২৩৩টি ফরেস্ট ক্যাম্পের ৬২টিই এখন প্লাবিত হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিবছরই কাজিরাঙার নিচু অংশ জলমগ্ন হলে ৭১৫ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে বন্য প্রাণীগুলো কার্বি আংলং পাহাড়ে আশ্রয় নেয়।
সে সময় দ্রুতগতির যানবাহনের ধাক্কায় বহু পশু মারা পড়ে। এবার বন্য প্রাণী বাঁচাতে ওই জাতীয় সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নজর দিচ্ছে আসম বন দপ্তর।
সূত্র : বিবিসি, আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি

সর্বশেষ - ঢাকা