১১ ডিসেম্বর ২০২৫, এখন সময় রাত ১:০১ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

আগামীতে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না : এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ ৪:৪৪ অপরাহ্ণ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনও ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে। তবে আগামীতে কেউ চাইলেও ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করতে পারবেন না, সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ৯ ডিসেম্বর রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী বিশেষ নিবন্ধন অভিযান চালানো হবে। এর মাধ্যমে এক লাখ নতুন ভ্যাট নিবন্ধন দেওয়া হবে। বর্তমানে দেশে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৪ হাজার। পর্যায়ক্রমে এটা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা হবে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য অনলাইনে সহজ ‘ওয়ান-ক্লিক’ ভ্যাট রিটার্ন ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনার কথা জানান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, এক ক্লিকেই ভ্যাট দেওয়ার পদ্ধতি চালু করা হবে। কিছু বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এখন এক ক্লিকেই ভ্যাট দিতে পারছেন। ভ্যাট নিবন্ধন বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি এবং নিবন্ধন ব্যবস্থা সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে সামগ্রিকভাবে ভ্যাট-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এবার ই-রিটার্নে বেশ সাড়া মিলছে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়েছে। এ বছর ৪০ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়তে পারে। ই-রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় ব্যাংক সংক্রান্ত চারটি তথ্য দিতে হয়। সে জন্য করদাতাদের ব্যাংকের কাছে যেতে হয়। বিষয়টি স্বয়ংক্রিয় করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেটা হলে করদাতাদের ভোগান্তি কমবে।
আবদুর রহমান খান বলেন, ভবিষ্যতে ই-রিটার্ন জমার সঙ্গে ব্যাংকের সমন্বয় করা হবে। করদাতাদের যেন বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা থেকে একাধিক ব্যাংক সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে না হয়, সে জন্য এনবিআর একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি তৈরি করছে। এটি বার্ষিক রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়াকে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করবে।
সিস্টেমটি নিয়ে করদাতাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রিটার্ন দাখিলের সময় শুধু করদাতাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে জেনারেট হওয়া ব্যাংক তথ্য দেখতে পারবেন। এনবিআরের কর্মকর্তারা কোনোভাবেই করদাতার ব্যক্তিগত বা লেনদেন-সম্পর্কিত তথ্যের অ্যাকসেস পাবেন না। তা ছাড়া এ সিস্টেমের মাধ্যমে করদাতার কোনো লেনদেন স্তরের তথ্য সংগ্রহ করা হবে না। বিশদ ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চাওয়া হলে তা বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তদন্তের ক্ষেত্রে যথাযথ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আগের মতোই আলাদা প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে।
অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান খান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্যই লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। তবে কোনো অবস্থায় যেন করদাতার ওপর হয়রানি বা জুলুম করা না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে। মূলত যারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাদের কাছ থেকেই রাজস্ব আদায়ের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি জানান, ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে নানামুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজস্ব ব্যবস্থাকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত