বাংলাদেশ হাইকমিশন, প্রিটোরিয়া ১৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান উদযাপন করেছে । অনুষ্ঠানটি প্রিটোরিয়া কান্ট্রি ক্লাবে সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে বিকাল ৩টায় শেষ হয়। অনুষ্ঠানটিতে প্রায় ২০০ জন বিদেশী কূটনীতিবিদ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন । এছাড়াও প্রায় ১০০ জন দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিক অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন ।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখ্য পরিচালক মিসেস থান্ডিওয়ে ফাদানে। এরপূর্বে ২৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে দূতাবাস প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয় । ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে সকাল ১১:৪৫টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রিত অতিথিদের গ্রহণ করা শুরু হয়। দুপুর ১২:৩০ টায় অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণ করেন । অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় সংগীত বাজানো হয় । অত:পর বাংলাদেশ হাইকমিশন, প্রিটোরিয়া-তে নিযুক্ত মান্যবর হাইকমিশনার শাহ্ আহমেদ শফী ও পরে প্রধান অতিথি বক্তব্য প্রদান করেন । শফী তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ইতিহাস, তাৎপর্য ও গুরুত্ব বর্ণনা করেন । এছাড়াও বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন । তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নের বিষয়ে অতিথিদের অবহিত করেন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বন্ধুপ্রতিম দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান । তিনি ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান ও ফিলিস্থানের স্বাধীনতা এবং যুদ্ধ ও গোলযোগমুক্ত একটি শান্তি ও সৌহার্দময় বিশ্বের প্রত্যাশা করেন বলে উপস্থিত অতিথিদের জানান। পরিশেষে, তিনি দ্রুত বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হাইকমিশন খোলার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মান্যবর হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান এবং দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও তা উন্নয়নের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন । তাঁরা উভয়ে দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা থেকে সামরিক ও বাণিজ্য-বিনিয়োগ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতার অবারিত সুযোগের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেন ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় । পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ১:৩০ টায় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয় ।