চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে ২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ চিত্র দেখা গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ চিত্র দেখা গেছে।
মাসিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইপিবি জানিয়েছে, অর্থবছরের শুরুতে রপ্তানি পারদর্শিতায় দৃঢ়তা দেখাচ্ছে। তবে বিশ্ববাজারে চাহিদার ওঠানামা ও পরিবর্তনশীল বাজার পরিস্থিতি বাংলাদেশের রফতানি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৮৬৮ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয় ৭৮৫ কোটি ২৭ লাখ ডলারের পণ্য। এ হিসাবেই অর্থমূল্য বিবেচনায় পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ।
একক মাসভিত্তিক ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত আগস্টে দেশ থেকে ৩৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের আগস্টের তুলনায় যা ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম। ২০২৪ সালের আগস্টে ৪০৩ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে ৭১৩ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার ডলারের, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২০ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
জুলাই-আগস্টে কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের, যা বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত বছরের জুলাই-আগস্টে কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছিল ১৬ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার ডলারের।
অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। জুলাই-আগস্টে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি।