যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২৩ সালে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আবারও স্থান পেয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আজিজ খান। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস’ এ তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ৪১তম।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, আজিজ খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১১২কোটি ডলার। তবে আজ এ প্রতিবেদন লেখার সময় অবশ্য তার সম্পদের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ফোর্বস’ সাময়িকীর তথ্যানুসারে, আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার, অর্থাৎ দুই কোটি ডলার কমেছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বন্দর, ফাইবার অপটিকস, অবকাঠামো খাতের ব্যবসা পরিচালনা করছে সামিট গ্রুপ। ফোর্বসের হিসেবে দ্বিতীয়বার আজিজ খান সিঙ্গাপুরের বিলিয়নিয়র ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সিঙ্গাপুর এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত।
২০২১ সালে আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৯ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৯ সাল থেকে তার সম্পদের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এরপর ২০২২ সালে তার সম্পদের পরিমাণ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ফলে তিনি ‘ফোর্বস’–এর বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতিদের তালিকায়ও স্থান পান।
ফোর্বসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করা হয়। ফলে সে বছর আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ কমে ৮৫ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। তবে পরবর্তীতে তার সম্পদের পরিমাণ আবারও বাড়তে শুরু করে।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা এই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আজিজ খানের নাম প্রথম স্থান পায় ২০১৮ সালে। সে বছর এই তালিকায় তার অবস্থান ছিল ৩৪ নম্বরে। আজিজ খানের তিন সন্তান। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের দায়িত্বে রয়েছেন তার মেয়ে আয়েশা।
বিভিন্ন দেশের ধনী ব্যক্তিদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ সিঙ্গাপুর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ঠিক মাঝখানে অবস্থান হওয়ায় দেশটি প্রতিবেশীদের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তুলনামূলক কম শুল্ক গ্রহণের কারণে বিশ্বে সিঙ্গাপুরের যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে।
দেশটিতে অনেক খাতেই ট্যাক্স দিতে হয় না। নানা ক্ষেত্রে বাধাহীন লেনদেনের কারণে সেখানে বিদেশি বিনিয়োগ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই। ফলে সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ কিছুটা কম।