১৮ অক্টোবর ২০২৪, এখন সময় সকাল ৮:৪২ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই ৪, ২০২৪ ৬:২০ অপরাহ্ণ

দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ (আইজেএমইবি)-২০২৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছ হলে ফিতা কেটে আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আহমেদ ইব্রাহিম সোবহান, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়বসহ বাজুসের নেতারা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ- সভাপতি আমিন হেলালী, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ। আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেস’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রান্তি নাগভেকার, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি দিলীপ কুমার রায়, সহ-সভাপতি সুমিত ঘোষ অপু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আজ দেশে প্রথম তিনদিনের আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী শুরু হলো। এটা একটা আন্তর্জাতিক প্রদশর্নী, বাজুসের ৪০ হাজার সদস্যের সঙ্গে দেশের আরও ১০ লাখ মানুষ জড়িত। এই শিল্প রপ্তানি ও স্থানীয় বাজারে অবদান রাখছে। রপ্তানি খাতে তৈরি পোশাক খাতের মতো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আনবে বলে সে প্রত্যাশা আমরা করি। এ ক্ষেত্রে নীতি সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, এই শিল্প যদি নীতি সহায়তা পায় তাহলে ব্যবসায়িকভাবে এ খাতে জড়িতরা আরও অনেক এগিয়ে যাবে। তবে শিল্প-কারখানা ও ট্রেড এই দুই বিষয়কে আলাদা করতে হবে। যারা শিল্প-কারখানা করে তাদের জন্য নীতি সহায়তা এক রকম এবং যারা ট্রেড করে তাদের জন্য নীতি সহায়তা আরেক রকম হবে। তাহলে অনেকেই শিল্প করার জন্য এগিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করবে, সেটা পূরণ হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমদ বলেন, এই শিল্পের বিশাল সম্ভবনা রয়েছে। তবে গোল্ড রিফাইনারির জন্য সোনার প্রয়োজন, কিন্তু দেশে সোনা নেই, সেটা কোথায় পাওয়া যাবে সেটা নিয়ে সবাই চিন্তিত। তখন বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ভাইয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছিল তখন তিনি বলেছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে সোনা আমরা পাবো। আর তখন দেশে হাজার হাজার সোনার কারখানা তৈরি হবে। যা হবে রপ্তানিযোগ্য। আজ যে সোনা সেটা আমদানি করে জুয়েলারি তৈরি করতে হয়। আর মেড ইন বাংলাদেশ হতে হলে ২৫ শতাংশ র-ম্যাটেরিয়াল হতে হবে বাংলাদেশে। তখন বাংলাদেশের সোনা রপ্তানিযোগ্য হবে।

বাজুসের মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি ডা. দীলিপ কুমার রায় বলেন, এই প্রদশর্নীর উদ্দেশ্য হলো দেশের জুয়েলারি শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনা নীতিমালা করেছেন। আর সেই নীতিমালা বাস্তবায়নে বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর দেশের ৪০ হাজার ব্যবসায়ীকে এক ছাতার নিচে এনেছেন। কারণ এখন থেকে আমরা আর বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার এনে বিক্রি করবো না। আমাদের দেশে স্বর্ণালংকার তৈরি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করবো এটাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের এই প্রদশর্নী। আমাদের একটি বদনাম আছে যে বিদেশ থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণালংকারের দাম ভরিতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি। সেটা যাতে না থাকে সে জন্য এই প্রদশর্নী।

দেশে নতুন জুয়েলারি কারখানা স্থাপন ও পুরাতন কারখানাগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন এবং রফতানিমুখী খাত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও পণ্যভিত্তিক সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেস যৌথভাবে এ প্রদশর্নীর আয়োজন করেছে। প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘গহনায় হোক প্রযুক্তির ছোঁয়া’।

প্রর্দশনী চলবে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রর্দশনীটি ব্যবসায়ী দর্শনার্থীদের জন্য উম্মুক্ত। প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান।

প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ভারতের ৮টি প্রতিষ্ঠান- তিশ্য সিএনসি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, নিও ইন্সট্রুমেন্ট, মাইক্রো ম্যাক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, অনন্ত জুয়েলস অ্যান্ড টেকনোলজি, সোলাংকি মেশিনারিজ ওয়ার্কস, ইরা কর্পোরেশন, কোয়ান্টাম ইকুইপমেন্ট ও অ্যাকজেট সলিউশন, প্যাসিও ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেড।

ইতালির ২টি প্রতিষ্ঠান জেটিই ও ফাস্টি; তুরস্কের ২টি প্রতিষ্ঠান ওটেক ও গুভেনিস; জার্মানির ফিশার; চীনের ডু ইট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড; থাইল্যান্ডের বেসিক জুয়েলারি কোম্পানি লিমিটেড।

বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে ৫টি প্রতিষ্ঠান- ড্রিমস ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি, রাজঐশ্বরী, এক্সপার্ট ইন্সট্রুমেন্ট, ট্রাস্ট ইন্সট্রুমেন্ট বাংলাদেশ ও র‍্যার্টস বিডি।

সর্বশেষ - আইন-আদালত