সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে দুই শতাধিক নিহত অসংখ্য মানুষ আহত, এই দায় কার? আসা যাক মূল কথায়- বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন ছাত্রদের ন্যায্য অহিংস আন্দোলন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে ৫৬ শতাংশ কোটা দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ অযৌক্তিক মনে করে। ছাত্রদের এই যৌক্তিক দাবি- সরকার প্রথমেই কেনো বুঝতে পারলো না, তা বোধগম্য নয়। সরকার প্রথমেই ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে এর সমাধান করতে পারতো। সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনে অশুভ শক্তিকে তাণ্ডব লীলা চালানোর সুযোগ করে দেওয়া হলো; তা প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার বলছে- দুর্বৃত্ত অগ্নিসন্ত্রাসীরা যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসে নাশকতার পরিকল্পনা করছে আগ থেকেই তা জানতো। এখন প্রশ্ন হলো- সরকার জেনেও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গ্রহণ করলো না কেনো? তাহলে সরকারের নিকট কী জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের কোনোই মূল্য নেই? সরকার যদি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে চায় কোটা ছাড়াও বিভিন্নভাবে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধা কোটা নিয়ে এতো জলগোলা করার কোনোই প্রয়োজন ছিল না।
ছাত্ররা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল; হঠাৎ পুলিশ নিরস্ত্র ছাত্র আবু সাঈদের উপর রহস্যজনকভাবে গুলি করলো কেনো? এর পিছনে আন্দোলনকে উসকে দেওয়ার কোনো ষড়যন্ত্র ছিল না তো! তা খতিয়ে দেখা একান্ত জরুরি। ঘটনাটি রহস্যজনক বলছি কারণ আন্দোলনকারী মুগ্ধ তার স্ট্যাটাসে লিখেছিল যে, তারা অরাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করছে এবং অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর মুহূর্তে জামায়েত-শিবির যেনো এই আন্দোলন থেকে ফায়দা লুটার চেষ্টা না করতে পারে। এটাই ছিল- তার জীবনের শেষ স্ট্যাটাস । তাঁর মৃত্যুর পর আর স্ট্যাটাস দেওয়ার সুযোগ কোথায়? আবার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের যে ছেলেটি মারা গেল- তাঁর গৃহ শিক্ষক ছিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাহিত্য সম্পাদক। এই শিক্ষক ছেলেটিকে বাড়ির বাইরে নিয়ে এসেছিল বেড়াতে। পরে সেই ছাত্রটি লাশ হয়ে ঘরে ফিরলো। তাই পুরো ঘটনাটিই রহস্যে আবৃত!
ছাত্রদের দাবি ছিল- বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা। সরকার এই দাবিও পূরণে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানকে প্রধান করে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করেছে। তবে এই কমিটিতে নিরপেক্ষ বিশিষ্টজন ও আন্দোলনকারী ছাত্রদের সম্পৃক্ত করলে বিষয়টি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপি যে সহিংসতা হয়েছে, তা কারো কাম্য নয়। এর ফলে জনজীবনে যেমন দুর্ভোগ নেমে এসেছে, অর্থনীতিতেও ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এমনিতেই বর্তমানে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৯শতাংশের বেশি । মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গত দুই বছরে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি বিশেষ কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাহিরে। তাহলে নিম্নমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের কী অবস্থা; তা সহজেই অনুমেয়। দেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং খাতও কুঋণের দুষ্ট চক্রে আবদ্ধ। দুষ্ট চক্রের ভয়াবহতা, দুর্নীতি ও অর্থপাচার, উন্নয়নের সুফল জোঁকের মতো চুষে নিচ্ছে । এর পাশাপাশি আবার মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান নাশকতার ভয়াবহতা। এর খেসারত জাতিকে কীভাবে দিতে হবে; তা অজানা। তবে দেশের জনগণ আশা করে- যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ যেমন বিটিভি ভবন, স্বাস্থ্য ভবন, সেতু ভবন, টিকাদান কর্মসূচি অফিস, মেট্রোরেল, বিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, পিবিআই অফিস, ডাটাবেজ সেন্টার, মহাখালী করোনা হাসপাতাল, পুষ্টি ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিআরটিএ কার্যালয়, নরসিংদী কারাগারে হামলা করে জঙ্গিসহ সাজাপ্রাপ্ত দাগি আসামী বের করে নেওয়া, বছিলায় সিটি হাসপাতাল, পুলিশের ডিসি কার্যালয়, ট্রাফিক পুলিশ বক্স, টিএন্ডটির আঞ্চলিক কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশনের অফিস, পাসপোর্ট অফিস, সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, যাত্রাবাড়ীতে নারী সাংবাদিকদের উপর হামলা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য মাইকিং করে পুরস্কার ঘোষণার মাধ্যমে পুলিশের উপর হামলা ও পুলিশ হত্যা, মানুষ মেরে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্রলুট, হামলা-ভাংচুর, লুটপাটসহ দুর্বৃত্তায়ন বা অগ্নি সন্ত্রাসীরা ধ্বংস করেছে; তাদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।।
আন্দোলনের নামে দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনে হামলার কোনো পার্থক্য আছে বলে দেশের সাধারণ জনগণ মনে করে না। কারণ ইসরাইল ফিলিস্তিনের হাসপাতালসহ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে হামলা করার কারণে সারা বিশ্বের মানুষ ইসরাইলকে নিন্দা জানাচ্ছে। দেশের সাধারণ জনগণ মনে করে- হাসপাতাল ও সেবাসেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ঘৃণিত অমার্জনীয় অপরাধ । তাই আমাদের আজ গণদাবি- যারাই এই কাজ করেছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা। তা-না হলে ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ আরো সংঘটিত হতে পারে? তবে স্পষ্ট করে বলতে চাই- নাশকতাকারীকে মানুষ যেমন সমর্থন করে না, তেমনি তদন্তের নামে ভিন্ন মত দমন ও গণগ্রেপ্তার, নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানিও মানুষ সমর্থন করবে না। দেশের সাধারণ জনগণ চায়- দোষীদের শাস্তি হোক। আর জনগণের বিশ্বাসের জায়গাটা ধরে রাখার দায়িত্ব সরকারেরই।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, পুলিশসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের উপর চোরাগুপ্তা হামলা হতে পারে। যদি তা-ই হয়; তাহলে নাশকতাকারী উগ্র চরমপন্থী গোষ্টীকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নৈতিক দায়িত্ব বলে এই দেশের সাধারণ জনগণ মনে করে। এই অপকর্মের জন্য একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী জামাতে ইসলাম ও বিএনপির উপর বিভিন্নভাবে অভিযোগ আসছে। ২০১৩ সালেও সারাদেশে এভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ আছে উল্লেখিত সংগঠন দু’টির। জনগণ মনে করে- যে বা যারাই এই ঘৃণিত অপরাধ করুক না কেনো, তাদের বিচার হওয়া উচিত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া । তাই তাদের সাথে দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ হতেই পারে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতালের ন্যায় সেবামুলক কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অপরাধ কী? কেনো তাদের উপর হামলা করে কর্মকর্তাদের মারধর করা হলো। উল্লেখিত ধ্বংসাত্বক কার্যক্রম দ্বারা সহজেই অনুমেয়, এটা দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে, দেশকে অকার্যকর করার গভীর নীল নকশার অংশ। জনগণ মনে করে- এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি; তাই এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। জনগণ এও মনে করে যে, বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার বিভিন্ন কারণে তার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। তাই আওয়ামীলীগকে জনগণের আস্থা অর্জনে দুর্নীতি, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অর্থপাচারকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে উদ্যোগ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠিন প্রাচীর গড়ে তুলতে হবে।
এবার আসা যাক বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্রদের প্রসঙ্গে । কোটা বিরোধী সাম্প্রতিক আন্দোলন ছাত্ররা কেনো করলো; তা বোধগম্য নয়। প্রথমত, আপিল বিভাগ যখন হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন, সেদিন থেকেইতো চাকরিতে কোটা ছিল না। ৭ আগস্ট শুনানির যে কথা ছিল তা অনুষ্ঠিত হলে আপিল বিভাগ যদি কোটা বহাল রাখার আদেশ দিতেন তখনই আন্দোলনের প্রশ্ন উঠতো। দ্বিতীয়ত, আপিল যেহেতু করেছিল সরকার, সেহেতু ধরে নেওয়া যায় সরকারও ছিল কোটা পদ্ধতির বিপক্ষে। শিক্ষার্থীরা ৭ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতেন, সময়টা তো খুব বেশি নয়। জুলাইয়ে আন্দোলন করতে পারলে আগস্টে কেনো করা যাবে না? এই এক মাসেতো আর কোটা পদ্ধতির সুযোগ নিয়ে কেউ তাদের চাকরির প্রাপ্যতায় ভাগ বসাতে পারতো না। অথচ দুঃখজনক হলো- তারা আন্দোলনে নেমেছেন এবং এই আন্দোলন চলাকালীন অনেকের প্রাণ গেছে, ধ্বংস হয়েছে অপরিসীম রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাহলে কোনো পক্ষের কাছেই কী দায়িত্ববোধ বা এইসবের কোনো মূল্য নেই? তৃতীয়ত, শিক্ষার্থীরা বলছেন- তারা নাশকতার সঙ্গে জড়িত নন। আমরা তাদের এই কথায় বিশ্বাস রেখে বলতেই পারি- তারা যদি সুনাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে নাশকতার সময় তারা দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে সরকারি চেষ্টায় শামিল হলেন না কেনো? আবার আপিল বিভাগের রায়ের পর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের বিচার ও দ্রুতই রায়ের আলোকে প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবি তুলে শিক্ষার্থীদের সেলিব্রেশনে মেতে ওঠার কথা ছিল। তারা তা করেননি বরং রায়কে হালকা পাতলা স্বাগত জানিয়ে এমন একটি দাবি তুলেছেন, যা তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে কী হবে না, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত পরিস্থিতি সাপেক্ষে এবং তা বিবেচনা করবে সরকার। শিক্ষার্থীরাতো এই দাবি তুলতে পারে না। অতঃপর কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন, তবে কী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের রাজনৈতিক চরিত্র রয়েছে অথবা অন্য কোনো রাজনৈতিক মহল তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে? এই কথা বলার বিভিন্ন কারণের সঙ্গে আরো দৃঢ় যৌক্তিকতা হলো- আন্দোলনকারীদের অনেকেই ছিলেন মুখোশ পরা, তারা কারা! ছাত্ররা যখন ন্যায্য দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছেন তখন তাদের মুখে মুখোশ থাকবে কেনো? তাহলে কী বলা যায় না যে, ছাত্রদের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ডুকে পড়েছে। সবমহলের সন্তুষ্টি এনেছে যে রায়, তা ঘোষিত হওয়া এবং সেনা মোতায়নের পর যখন বিভিন্নভাবে নাশকতা হচ্ছে এবং একই সঙ্গে ঝরছে প্রাণ, তখন ধরে নিতে হবে কোনো না কোনো মহল সরকারের পতন চাইছে। বর্তমান সরকারকে পছন্দ না হলে কেউ চাইতেই পারেন; এই সরকার আর না থাক? কিন্তু এই আকাঙ্খা বাস্তবায়নের উপায় কী রাষ্ট্রীয় এবং জনগণের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অতি প্রয়োজনীয় সম্পদ নির্বিচারে ধ্বংস করা? ছাত্ররা যেহেতু অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে এবং যেহেতু তাদের সকল দাবি পূরণ হয়ে গেছে। তাই ছাত্রদের উচিত- দুর্বৃত্তদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে তাদের আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটানো। অন্যদিকে সাধারণ জনগণের দাবি-
১. কোনো কোনো মৃত্যু এড়ানো যেতো কিংবা কোনোটাই এড়ানো সম্ভব ছিল না এবং সঙ্গে যুক্ত হওয়া কয়েকটি রহস্যজনক মৃত্যু প্রতিটিরই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে একটি পরিষ্কার চিত্র জনগণ দেখতে চায়। এই চিত্রে যেসব নাশকতাকারী ও হত্যাকারীকে দেখা যাবে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. বিচার প্রক্রিয়া হতে হবে স্বাধীন ও সরকারের প্রভাবমুক্ত। প্রমাণ করতে হবে- আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের নিজ নিজ এখতিয়ার থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার যে পরিবেশ প্রয়োজন, দেশে তা আছে। এছাড়াও যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে , তাদেরও সততার সঙ্গে চিহ্নিত করে শাস্তি সুনিশ্চিত করতে হবে।
৩. উপনিবেশিক আমলাতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক চেতনার রাষ্ট্রেরস্থলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পত্তনের মধ্য দিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত, অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যের কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. দেশে সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, স্বচ্ছ টেকসই ও কালো টাকা মুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই আজ জনগণের দাবি। সরকার কোনোভাবেই এই দাবি এড়িয়ে যেতে পারে না। এই জন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। শেষ কথা- উদ্ভুত পরিস্থিতির উত্তরণে সরকারের উচিত ১৪ দলের বাইরেও জনগণের স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া।