২১ নভেম্বর ২০২৪, এখন সময় বিকাল ৩:৩৯ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস শুরু বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই ৩১, ২০২৪ ১:১৯ অপরাহ্ণ

দেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ১৭ জুলাই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। গেল ২৯ জুলাই কিছু শিক্ষার্থী বিক্ষোভ জানাতে রাস্তায় নেমেছেন, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খুলতে চান বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ৩০ জুলাই সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ধাপে ধাপে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে চাই। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার জন্য যে বিদ্যালয়গুলো আছে, পরবর্তীতে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো, নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। নিরাপত্তা ঝুঁকি নির্ধারণ আমরা প্রতিদিন করছি। সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই যথাসময়ে সেটা জানিয়ে দেব। নিরাপত্তা ঝুঁকি যদি কমে, তখন আপনারা জানতে পারবেন, কখন খোলা হবে।
অনলাইনে ক্লাস হতে পারে কী-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট যেহেতু সচল হয়েছে, সেটাও আমরা বিবেচনা করছি। ইতোমধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় বলেছেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হবে। ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংস অবস্থা তৈরি হলে ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই দিন দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। এর আগে গত ১৬ জুলাই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৮ জুলাইয়ের চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কোটা পদ্ধতি নিয়ে চলমান সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় গত ১৮ জুলাই আবার ২৮ জুলাইয়ের পরীক্ষাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয় সব পরীক্ষা।

সর্বশেষ - আইন-আদালত