আগেরদিন বৃষ্টির কারণে ফাইনাল মাঠে গড়ায়নি। ২৯ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সোমবার রাতে শুরু হওয়া ম্যাচ বৃষ্টির কারণে গড়িয়ে যায় মধ্য রাতে। আর গভীর রাতে রূপকথার জন্ম দিয়ে রেকর্ড ছোঁয়া পঞ্চম শিরোপা জিতে নেয় মাহেন্দ্র সিং ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংস।
২০১৯ সালে ধোনি যখন শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন সেদিনও খুব বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ গড়িয়েছিল রিজার্ভ ডেতে। আইপিএলের ফাইনালের দিনও তুমুল বৃষ্টি হয় এবং ফাইনাল গড়ায় রিজার্ড ডেতে। সে কারণে অনেকেই মনে করেছিলেন এটাই হয়তো ধোনির শেষ আইপিএল ম্যাচ। তার ওপর শিরোপা জেতায় অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন ধোনি হয়তো এবার অবসরের ঘোষণা দিবেন। কিন্তু না। তিনি জানিয়েছেন এখনই অবসর নিচ্ছেন না। ২০২৪ আইপিএলেও খেলার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে কিছু যদি-কিন্তুর কথাও বলেছেন।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, আপনি যদি পরিস্থিতিগত বিষয় দেখেন তাহলে এটা অবসর গ্রহণের জন্য সেরা সময়। কিন্তু এই মৌসুমে আমি যে পরিমাণ ভালোবাসা, সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা পেয়েছি তাতে আমার অবশ্যই বলতে হয়- আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন বিষয় হচ্ছে আগামী আরও ৯ মাস কঠোর পরিশ্রম করা এবং আইপিএলের আরও একটি মৌসুম খেলা। তবে সেটা নির্ভর করবে আমার শরীরের ওপর। অবশ্য এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমার হাতে এখনও ছয়-সাত মাস সময় রয়েছে। আর আমি যদি আরও একটি মৌসুম খেলতে পারি তাহলে সেটা ভক্ত-সমর্থকদের জন্য হবে দারুণ এক উপহার। যদিও কাজটা আমার জন্য সহজ হবে না। কিন্তু তাদের যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি সেটার প্রতিদান স্বরূপ তাদের জন্য আমার কিছু করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, একটা বিষয় আমাকে বেশ আবেগতাড়িত করছে। আসলে এটা আমার ক্যারিয়ারের একেবারে শেষ অংশ। যেটা শুরু হয়েছে ২০২৩ আইপিএলে আমার প্রথম ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে। সেদিন আমি যখন মাঠে নামলাম তখন পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে সবাই আমার নাম ধরে স্লোগান দিচ্ছিল। এটা দেখে আমার চোখে পানি চলে আসলো। আমি ডাগআউটে কিছুটা সময় দাঁড়ালাম। ভাবলাম এবং সিদ্ধান্ত নিলাম এই বিষয়টা আমি উপভোগ করতে চাই, চাপ হিসেবে নিতে চাই না। চেন্নাইতে আমি যখন আমার শেষ ম্যাচটি খেলেছি সেখানেও ঠিক এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তবে আমার মনে হয় আবার ফিরে আসা এবং যতটুকু পারি খেলাটা ভালো হবে।
জুলাইতে ৪২ বছরে পা দিবেন ধোনি। আইপিএলে এবার তিনি ৭ ও ৮ নম্বরে ব্যাটিং করেছেন। যদিও তার হাঁটুতে ইনজুরি ছিল। তারপরও ১৮২.৪৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি দর্শকদের ব্যাট হাতে আনন্দ দিয়েছেন। ১২ ইনিংসে ৫৭ বল মোকাবিলা করে ১০ ছক্কায় রান করেছেন ১০৪টি।