পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। তিনি ৫ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সোমবার কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দ্বিতীয় ইউএন-হ্যাবিটেট সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে কেনিয়ার নাইরোবিতে রয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি এবং ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশকে এখন অনেক দেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। এক্ষেত্রে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এই পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন যারা পছন্দ করেনা তাদের অনেকেই দেশে বিদেশে অপপ্রচার ও গুজব রটাচ্ছে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে তিনি প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মানুষ এখন অনেক ভালো আছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা স্বাস্থ্য খাতেও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছেন যেখানে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। একারণে শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু অনেক কমে গেছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এছাড়া এখন শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে।
ড. মোমেন বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে এবং রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সব দেশেই মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, আমাদের দেশেও কিছুটা বেড়েছে। তবে আমরা ধনী দেশ না হলেও, করোনাকালে গরীব মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১ কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের এসব অর্জন ধরে রাখতে হলে আমাদের দেশে স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন। আমরা যদি স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারি তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।’ রূপকল্প ২০৪১ এর লক্ষ্য অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতি মাসে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণ করছেন, ফলে আমরা অনেক বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে পারছি।
অনুষ্ঠানে কেনিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ, নাইরোবিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কেনিয়াতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ উপস্থিত ছিলেন।