পুলিশের গুলিতে কিশোরের মৃত্যুর পর টানা পাঁচদিন ধরে বিক্ষোভ-সহিংসতায় উত্তাল ফ্রান্স। ভাঙা হচ্ছে গাড়ি, ব্যবসায়িক স্থাপনা।
রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সামাজিক প্রতিবাদ ও বিশৃঙ্খলা।
এদিকে, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্যারিসসহ শহরগুলোতে ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্যারিসের বাইরে দক্ষিণপন্থী মেয়রের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সেখানে গাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যদিও মেয়র তখন বাড়ি ছিলেন না। কিন্তু তার স্ত্রী-সন্তানরা ছিলেন। মেয়রের স্ত্রীর পা ভেঙে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে নিহত কিশোর নাহেল মেরজুকের নানি নাদিয়া এক বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, অবিলম্বে এই সহিংসতা বন্ধ হোক।
বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, গাড়ি, বাড়ি, স্কুল তো আপনাদের কোনো ক্ষতি করেনি। মনে রাখবেন, ওই বাসে করেই মায়েরা স্কুলে যান।
নাদিয়া বলেছেন, নাতির হত্যায় তিনি ও তার মেয়ে বিপর্যস্ত। কিন্তু বিচারবিভাগের ওপর তাদের আস্থা আছে। তিনি ন্যায় পাবেন।
এদিকে শান্তিরক্ষার জন্য প্যারিসে সাত হাজার পুলিশ নামানো হয়েছে। বিশেষ করে শহরের কেন্দ্রস্থলে টহল বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত প্যারিসে ড্রোন দিয়ে নজরদারি করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ রোববার মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। তার জার্মানি সফর করার কথা ছিল। কিন্তু ফ্রান্সের এই পরিস্থিতির কারণে সফর পিছিয়ে দিয়েছেন। সূত্র- ডয়চে ভেলে