উচ্চশিক্ষার অঙ্গনে অস্ট্রেলিয়া বর্তমান বিশে^র এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ক্রমশ তাদের বিশ^বিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি সারা বিশে^ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনে শিক্ষার্থীদের হার উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বিশ^বিদ্যালয়গুলোর তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে। এক্ষেত্রে সমস্যাগুলো কি এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মানসিকতা বুঝতে ইউটিএস কলেজ বাংলাদেশ ৩ জুলাই বুধবার আয়োজন করে এক গোলটেবিল বৈঠকের। চট্টগ্রাম ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রামে শিক্ষাঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
অস্ট্রেলিয়ার খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়, সাম্প্রতিক ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে ৮৮তম অবস্থানে থাকা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস) এখন বাংলাদেশেও ক্যাম্পাস খুলেছে। ইউজিসি অনুমোদনপ্রাপ্ত ইউটিএস কলেজ বাংলাদেশের অধীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এখন বাংলাদেশেই তাদের ডিগ্রির প্রথম বছর শুরু করতে পারছে এবং দ্বিতীয় বছর থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের সিডনি ক্যাম্পাসে সরাসরি ক্লাস করতে পারছে। চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে ইউটিএস-এর কোর্স পরিচালনার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বেরি) হলো বাংলাদেশে ইউটিএস কলেজের স্থানীয় প্রতিনিধি।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ও ইউটিএস কলেজ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদের সঞ্চালনায় এ গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ইউটিএস কলেজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ও ডিরেক্টর পিটার হ্যারিস। এতে ইউটিএস কলেজের পক্ষে আরো আলোচনায় অংশ নেন রিজিয়নাল পার্টনার ম্যানেজার (সাবকন্টিনেন্ট) অপরাজিতা মাল্লা, ইউটিএস কলেজ বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর নকিব খান এবং বেরি-এর ফাউন্ডার ও সিইও ড. আরিফ জুবায়ের।
অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে বিজনেস ফ্যাকাল্টির সহকারী ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ মইনুল হক, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান, সহযোগী অধ্যাপক শাহীদ মো. আসিফ ইকবাল, ইংরেজি বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর গাজী শাহাদাত হোসেন ও রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান; চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান, মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর, আধুনিক ভাষা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফারজানা চৌধুরী, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফারাহ জাহান; ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্সের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. ইসতিয়াক আজিজ ও স্কুল অব বিজনেসের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর একেএম শারুল ইসলাম, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওম্যান এর ফ্যাকাল্টি অব ইন্ডাস্ট্রি পার্টনারশিপের এসিস্ট্যান্ট ডিন ড. রঘু রেড্ডি ও বায়োইনফরমেটিক্স এর এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. অয়ন শর্মা; মেন্টর্স-এর সিইও মানজুমা মোরশেদ, চিটাগাং গ্রামার স্কুলের কাউন্সেলর রুহবায়না এম. চৌধুরী, সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের তৌহিদুল ইসলামসহ আরো অনেকেই।
বক্তাদের আলোচনায় এ সময় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশের বিশ^বিদ্যালয় পছন্দ করার বিষয়ে নানান দিক উঠে আসে। তারা বলেন, অস্ট্রেলিয়ার উচ্চশিক্ষা দিন দিন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই, ইউনিভার্সিটিগুলো বিজনেস ও আইটি বিষয়ক ডিগ্রির পাশাপাশি সোশ্যাল সায়েন্স, লাইফ সায়েন্সের মতো বিষয়গুলোর উপর জোর দেওয়া জরুরি। এছাড়া, বিশ^বিদ্যালয়গুলোর বিশেষত্ব নিয়ে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত ব্র্যান্ডিং করার কথাও বলেন বক্তারা। স্কলারশিপের সুযোগ বাড়ানো এবং অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রসেসিং, পারমানেন্ট রেসিডেন্স-এসব সুবিধা আরো উপলভ্য করে তুললে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা যেতে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে বলেও তারা মন্তব্য করেন।